রাস্তা তো নয়। এ যেন আস্ত এক ডোবা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনিক মহলে বার বার আর্জি জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাই মঙ্গলবার তাঁরা খানাখন্দে ভরপুর জল জমা ওই রাস্তায় মাছের চারা ছেড়ে ও কচুরিপানা ছড়িয়ে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখালেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত প্রায় এক দশক আগে সালারের আজমপাড়ার পিচ রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ওই রাস্তায় সংস্কারের কোনও ছোঁয়া লাগেনি। চেনা রাস্তা ক্রমেই অচেনা হয়ে উঠেছে। রাস্তার মাঝে গভীর গর্ত, খোয়া উঠে কঙ্কালসার চেহারা। প্রায় একশো মিটার দীর্ঘ ওই রাস্তায় সব সময় জল জমে থাকে। বৃষ্টির জলের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির নোংরা জলও ওই রাস্তায় জমা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এর জেরে এলাকার স্কুল পড়ুয়ারাও সমস্যায় পড়ছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতিতে বার বার আবেদন করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এ দিন দুপুর নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা ওই রাস্তার দু’ধারে বাঁশ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। জমা জলে চারা মাছ ও কচুরিপানা ছেড়ে দেয়। বিক্ষোভকারী এক যুবক রাজু শেখ বলেন, “ ঈদের পরেই রাস্তার সংস্কার হবে বলে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে আশ্বাস দেয়। কিন্তু প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ায় আমরা বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। এরপরেও প্রশাসনের হুঁশ না ফিরলে আবার নতুন কিছু ভাবতে হবে।”
রাস্তার বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়ে ভরতপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের বদরুল আলম বলেন, “ গোটা সালার এলাকারই রাস্তা কম-বেশি খারাপ। মেরামতির কাজ খুব শ্রীঘ্রই শুরু হবে।” |