টুকরো খবর
একাধিক কলেজের ফল নিয়ে ক্ষোভ কোচবিহারে
সোমবার কোচবিহার বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজে অধ্যক্ষ ঘেরাওয়ের ছবিটি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কোচবিহার জেলার বিভিন্ন কলেজের পরীক্ষার্থীদের স্নাতক স্তরের পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সোমবার নতুন করে ফল ঘোষণার দাবিতে কোচবিহারের একাধিক কলেজে বিক্ষোভ দেখায় পরীক্ষার্থীরা। কোচবিহার বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজে দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা অবধি অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কোচবিহার কলেজ ও তুফানগঞ্জ কলেজেও ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, স্নাতক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের সান্মানিক ও পাস কোর্সের প্রচুর ছাত্রছাত্রীকে গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে। ভাল পরীক্ষা দেওয়ার পরেও পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ পাশ করতে পারেননি। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অরিন্দম দে বলেন, “জেলাজুড়ে বিভিন্ন কলেজে স্নাতক স্তরের রেজাল্টকে ঘিরে পরীক্ষার্থীরা হতাশ। দ্রুত ওই ফল বাতিল করে নতুন করে ফল প্রকাশের দাবি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

ট্রেন থমকে আড়াই ঘণ্টা
রেল লাইনে জড়িয়ে থাকা ‘ইলেকট্রনিক ডিভাইস’ থেকে বোমাতঙ্ক ছড়াল। হরিশ্চন্দ্রপুর ও কুমেদপুর স্টেশনের মাঝে রবিবার রাতে বোমাতঙ্কের জেরে আড়াই ঘণ্টা আটকে পড়ে দার্জিলিং মেল-সহ দূরপাল্লার ৪টি ট্রেন। রাতে নজরদারি চালানোর সময় আপ লাইনে জড়িয়ে থাকা ওই বস্তুটি নজরে আসে রেলকর্মীদের। তারপরই ৪টি ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, আরপিএফ, রেলপুলিশ-সহ রেলের কর্তারা। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গভীর রাতে পৌঁছায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডও। পরীক্ষার পর পুলিশ অফিসারেরা জানান, ওই ডিভাইস বোমা নয়। জল গরম করার ইলেকট্রিক ডিভাইস বলেই মনে হয়েছে। তবে কারা কী উদ্দেশ্যে তা লাইনে রেখেছিল তা দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে সেটি লাইনে জড়িয়ে রেখেছিল না কী কোনও যাত্রীর কাছ থেকে পড়ে গিয়েছে স্পষ্ট নয়। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শিবানন্দ শুক্লা বলেন, “বস্তুটির তার লাইনের ক্লিপে জড়ানো ছিল। তা থেকেই সন্দেহ বেড়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল লাইন পরীক্ষার সময় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বরপাড়া এলাকায় ১৪ নম্বর রেল সেতুর অদূরে লাইনে জড়িয়ে থাকা ওই তার যুক্ত বস্তুটি নজরে আসে দুই রেল কর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা দু’দিকের দুই স্টেশন ম্যানেজারকে জানিয়ে দেন। বোমাতঙ্কে ডাউন দার্জিলিং মেল ও পদাতিক এক্সপ্রেসকে কুমেদপুরে ও আপ সরাইঘাট ও তিস্তাতোর্সাকে হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। রাত একটা নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রাত দুটো নাগাদ ঘটনাস্থলে যান বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড কর্মীরা। পরীক্ষা করে তাঁরা বস্তুটি বোমা নয় বলে জানিয়ে দেন।

অপহরণের নালিশ
নাবালিকাকে বিয়ে করার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেছেন পাত্রীর বাবা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার গোপালপুরে ঘটনাটি ঘটে। কৃষিজীবী পরিবারের যুবক জিয়ারুল ইসলাম প্রতিবেশি নাজমিরা খাতুনকে বাড়ির অমতে গত ৩ অগস্ট প্রথমে রেজিস্ট্র ও পরে মুসলিম শরিয়ত আইন মেনে বিয়ে করেন। ৫ সেপ্টেম্বর নাজমিরা নাবালিকা দাবি করে বাবা নাজিম আলি বংশীহারী থানায় জিয়ারুলের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। অভিযোগের সঙ্গে মেয়ের বাবা যে শংসাপত্র দাখিল করেন, তা অনুসারে মেয়েটি নাবালিকা। যদিও নাজমিরার দাবি, “১৮ বছর হওয়ার পর বিয়ে করেছি।” জিয়ারুল বলেন, “বালিকা অপহরণের মামলা করে গ্রেফতার করতে পুলিশ বাড়িতে হানা দিচ্ছে। ভয়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে।”

গোলমাল গঙ্গারামপুরে
সমবায় সমিতির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-সিপিএমের সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর। সংঘর্ষে দুপক্ষের কয়েক জন আহত হন। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নারায়ণ মজুমদারের নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। সোমবার ঘটনাটি ঘটে গঙ্গারামপুরের দমদমা এলাকার এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোঅপারেটিভ সোসাইটিতে। ২২ সেপ্টেম্বর সমবায়ে ভোট। আসন ৪৭। সোম ও মঙ্গলবার মনোনপত্র জমার দিন ছিল। তৃণমূল নেতা রতন ঘোষ বলেন, “প্রার্থী ও প্রস্তাবকেরা মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে সিপিএমের লোক গোলমাল শুরু করে।” সিপিএমের জোনাল সম্পাদক বলরাম ঘোষ পাল্টা বলেন, “দমদমা সমবায়ে হারের আশঙ্কার তৃণমূল পরিকল্পনা মাফিক গোলমাল করে।”

জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস
কংগ্রেসেকে হারিয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটি নিবার্চনে ৬ আসন দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার কালিয়াচক মোজমপুর এইচএসএসবি হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। জেলা তৃণমূল সভাপতি মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র জানান, কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির নিবার্চনই তার প্রমাণ। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “সমাজবিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল স্কুলের পরিচালন কমিটি দখল করেছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.