মশার প্রাদুর্ভাব কমাতে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে ডোমকল মহকুমা প্রশাসনেরও কপালে চিন্তার ভাঁজ! তাই ডেঙ্গি বিষয়ে সচেতন করতে সকাল থেকে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে। তবে জনবসতে হুঁশ ফেরেনি। ডোমকলের বিভিন্ন বাজার থেকে জনবহুল গঞ্জ, সদ্য তৈরি হওয়া নিকাশি নালাগুলি জলে বালছে। বিশেষ করে মহকুমা সদর ডোমকলের নিকাশি নালাগুলিতে সাফাইয়ের অভাবে জল জমছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার প্রাদুর্ভাব। প্রশাসনের তরফে অবশ্য বার বার প্রচার চালানোর কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র অন্য! ডোমকলের মহকুমাশাসক প্রশান্ত অধিকারীর সাফাই, “নর্দমাগুলির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমাকে কেউ কিছু জানাইনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেও কোনও অভিযোগ পাইনি। ফলে নর্দমাগুলিতে যে জল জমে রয়েছে তা জানা ছিল না। গোটা বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
একই চিত্র, মহকুমার অন্যান্য এলাকাগুলিতেও সদ্য নির্মিত নিকাশি নালা নিয়মিত সাফ-সুতরো হয় না। ফলে আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিকাশি নালার মুখ। তাতে জমছে জল। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য জল জমার কারণ হিসেবে অপরিকল্পতি ভাবে নিকাশি নালা তৈরিকেই দায়ি করেছেন। তাঁদের কথায়, এলাকার মানুষ দাবি তুলতেই ভোটের কথা মাথায় রেখে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল খাতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে। পাড়ায়-পাড়ায় নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে। অথচ তা সাফাইয়ের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে জল জমছে তাতে।
ডোমকল মহকুমা চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি তথা ডোমকল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পার্বতীশঙ্কর নন্দী বলেন, “আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা হিতে বিপরীত হয়েছে। আমাদের মত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে ওই নালা সাফাইয়ের জন্য কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব নয়।”
স্থানীয় আজিমগঞ্জগোলা পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের সুজাতা মণ্ডল বলেন, “নিকাশি নালা সাফাই করার মত আর্থিক সঙ্গতি পঞ্চায়েতের নেই।” |