আবর্জনা ও জমা জলই তাদের ঠিকানা। কিন্তু কে শুনছে?
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেলডাঙার বড়ুয়া মোড়, বড় বাজার, মানুষের ভিড়ে সর্বদাই সরগরম। কিন্তু চৌমাথার সেই মোড় আবর্জনা আর জমা জলে সারা বছর ডুবে থাকে।
বর্ষায় সেই সমস্যা আরও বড় চেহারা নেয়।
জল, বৃষ্টিতে নালা ছাপানো আবর্জনা সব মিলিয়ে একাকার। মোড়ের পূর্ব দিকে বেলডাঙা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমে বেলডাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতি। দুই প্রশাসনই ওই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে নির্বিকার। তার উপর বেলডাঙা ছাপাখানা মোড়েও এক চেহারা।
সমস্যা সর্বাধিক বড়ুয়া মোড়ে। বেলডাঙার পুরপ্রধান কংগ্রেসের অনুপমা সরকার বলেন, “আমরা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে তৎপর। আবর্জনা পরিস্কার করা হচ্ছে। মশা মারার ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। তবে কী জানেন, সাধারণ মানুষ সচেতন হলে তবেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।” বেলডাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে সভাপতি কংগ্রেসের সুখেন হালদারও বলছেন, “বড়ুয়া মোড়ে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। আধিকারিকেরা আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। ফলে নতুন করে কোনও পরিকল্পনা নেওয়া যাচ্ছে না।”
নওদা থানার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালেও ছবিটা একই রকম। প্রধান ফটকে দু’দিকে আবর্জনা। মূল ভবনের প্রবেশ পথে বেশ কয়েক জায়গায় জল জমে। প্রচুর আগাছা। নর্দমা দীর্ঘ দিন পরিস্কার হয়নি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বোধাদিত্য বক্সি বলেন, “এখনও পর্যন্ত ব্লকের টুঙ্গিতে এক জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। আমি তার বাড়ি গিয়েছিলাম। সে বহরমপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।” কিন্তু হাসপাতালে ৬ জন সাফাই কর্মী রয়েছে, তা সত্ত্বেও এই অবস্থা কেন? হাসপাতালের সুপার বলছেন, “কর্মী সংখ্যাও অপ্রতুল। তবে তার মধ্যেও হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা তো চলছে।” তবে বেলডাঙা রয়েছে বেলডাঙাতেই। অভিযোগের পাহাড় জমেছে কিন্তু বেলডাঙার সাধারণ মানুষ কতটা সচেতন, সে ব্যাপারে প্রশ্ন থাকছেই। |