স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তের আগেই বিভিন্ন জেলায় কিছু কিছু প্যানেল তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই সব প্যানেল অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্যানেল তৈরির পরেও বিভিন্ন জেলায় স্কুল পরিদর্শকেরা শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করছিলেন না বলে অভিযোগ জানিয়ে উচ্চ আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি তরুণ দাসের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, তৈরি প্যানেল মেনে কর্মী নিয়োগ করতে হবে স্কুল পরিদর্শকদের।
শিক্ষাকর্মী নিয়োগ না-হওয়ায় পশ্চিম দিনাজপুর জেলার মহেশ রবিদাস এবং অন্যান্য জেলার প্যানেলে নাম থাকা কয়েক জন প্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য মামলাগুলি খারিজ করে দেন। আবেদনকারীরা তখন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।
দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করে আসছে এসএসসি। তবে ওই কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অনেক পরে। আবেদনকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন জেলা স্কুল পরিদর্শক
নিয়োগে টালবাহানা করছেন। তাঁরা বলছেন, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের এক্তিয়ার তাঁদের নেই।
ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের স্কুলশিক্ষা অধিকর্তার কাছে জানতে চায়, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের এক্তিয়ার স্কুল পরিদর্শকদের আছে কি না। শিক্ষা অধিকর্তা জানান, তাঁদের ওই এক্তিয়ার রয়েছে। তার পরেই ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, সিএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগে যে-সব স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের প্যানেল তৈরি হয়ে গিয়েছিল, সেখানে সংশ্লিষ্ট প্যানেল থেকেই দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। |