পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘর গুছিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দলের সম্মেলন-পর্ব এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। এখন রাজ্য সরকার চাইছে পঞ্চায়েত ভোটই এগিয়ে আনতে। সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করতে তাই সমস্যায় পড়েছেন ফব নেতৃত্ব। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে সিদ্ধান্ত না-হওয়ায় এই বিষয়ে আলোচনার বল পাঠানো হচ্ছে রাজ্য কমিটির কোর্টে। নির্ধারিত সময়ের প্রায় আট মাস আগে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে চেন্নাইয়ে পার্টি কংগ্রেস হবে বলে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফব-র কেন্দ্রীয় কমিটি। তার আগে রাজ্য সম্মেলনের দিন ও স্থান ঠিক করতে সোমবার বৈঠকে বসেছিল দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। কিন্তু সম্পাদকমণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্যই মত দেন, পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে শীতে চলে এলে জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সম্মেলন করা যাবে না। অন্য একাংশের মত, আপাতত তারিখ ঠিক করে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত তারিখ কাছাকাছি হয়ে গেলে সম্মেলনের সময় পরে পরিবর্তন করা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করেছেন, আজ, মঙ্গলবার ও কাল, বুধবার রাজ্য কমিটিতে যে মত উঠে আসবে, সেই অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত হবে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি ছাড়া পার্টি কংগ্রেস হতে পারে না! পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী পার্টি কংগ্রেসের তারিখও তাই পরিবর্তন-সাপেক্ষ।” সম্মেলনের আগে ফব-কে ভোগাচ্ছে জেলায় জেলায় কাজিয়া। উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও বর্ধমান গ্রামীণ জেলা কমিটিতে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা নিরসনের দায়িত্ব রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষকেই অর্পণ করেছে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। পাশাপাশি, কিছু আন্দোলনের কর্মসূচিও গৃহীত হতে পারে রাজ্য কমিটিতে। ‘পরিবর্তনে’র চেহারা দেখে শহর ও গ্রামের মানুষের ‘মোহভঙ্গ’ হচ্ছে বলে মনে করছেন ফব নেতৃত্ব। সেই জন্যই ‘তৃণমূল স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছনো’র কর্মসূচি নিতে চাইছেন তাঁরা।
|
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় পরিদর্শক সমিতির নির্বাচনে হেরে গেলেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। রবিবার ওই সমিতির নির্বাচন হয়েছে। প্রায় ৩৫ বছর পরে এই সমিতি বামফ্রন্টের হাতছাড়া হয়ে গেল। |