নারী-সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মহিলা কমিশনের সদস্য। ‘নারী সুরক্ষা’ শীর্ষক একটি আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হল পুরুলিয়ায়। রবিবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে এই আলোচনাচক্রে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়-সহ কমিশনের অন্য সদস্যাগণ। পুরুলিয়ার মতো পিছিয়ে পড়া জেলায় কীভাবে গার্হস্থ্য হিংসা থেকে নারীদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব এবং ২০০৫ সালে এই ধরনের হিংসা থেকে নারীদের রক্ষার জন্য যে আইন তৈরি করা হয়েছে কীভাবে মহিলারা তার সুফল পেতে পারেন তা নিয়েই এই আলোচনাচক্রে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বক্তারা। তার আগের দিন শনিবার মহিলা কমিশনের তিন প্রতিনিধি সুমা মুখোপাধ্যায়, জ্যোৎস্না অগ্রবাল ও মমতা মুর্মু পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ, মহিলা সংশোধনাগার ও আনন্দমঠহোম পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের ওয়ার্ডে দুর্গন্ধে ও নোংরা পরিবেশ দেখে স্পষ্টতই বিরক্তি প্রকাশ করেন তাঁরা। প্রশ্ন তোলেন হাসপাতালে ফিনাইল ব্যবহার হয় কি না? হাসপাতালের সুপার সুরেশ দাস তাঁদের জানান, ফিনাইলের টেন্ডার হয়নি। আনন্দমঠহোমের আবাসিকদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেন তাঁরা। পরে তাঁরা জানান, কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলি তাঁরা প্রশাসনের গোচরে আনবেন। রবিবারের আলোচনাচক্রে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিলাসীবালা সহিস, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি, জেলার বিভিন্ন থানার ওসি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে আলোচনাচক্রে মহিলাদের উপস্থিতির হার কম লক্ষ্য করে প্রকাশ্যেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। |
প্রতারকের জেল হাজত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
ঋণদানের নামে জালিয়াতি করার অভিযোগে ধৃত হেমন্ত রাও বুরাদাকে ৯ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল বাঁকুড়া আদালত। অভিযোগ, একটি ভুয়ো ঋণদানকারী সংস্থার নামে ইন্টারনেটে সস্তায় ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জালিয়াতি করতেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা হেমন্ত। সম্প্রতি বাঁকুড়ার দশেরবাঁধ এলাকার এক ব্যবসায়ী সুজয়কুমার দে হেমন্তের ফাঁদে পড়ে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গত মঙ্গলবার বাঁকুড়া পুলিশ ধরে হেমন্তকে। ওই দিন তাঁকে বাঁকুড়া আদালত সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিল।
পুলিশের দাবি, প্রায় ১৮ মাস ধরে এই জালিয়াতির ব্যবসা শুরু করেছেন হেমন্ত। হেমন্তের ফাঁদে পড়েছেন দেশের নানান প্রান্তের মানুষ। তবে, সুজয় ছাড়া অন্য কেউ পুলিশের দারস্থ হননি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “অভিযুক্তের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তদন্তে আমরা দেখেছি, ঋণ পাওয়ার আশায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একটি অ্যাকাউন্টে লক্ষাধিক টাকা জমা করেছিলেন বহু মানুষ। অভিযুক্তের অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও খতিয়ে দেখা হবে।” |
জল ছাড়া হল কংসাবতী থেকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হল। সোমবার দুপুর ২টো থেকে কংসাবতী নদীতে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই জল ছাড়ার ফলে বাঁকুড়ার কোনও ব্লকেই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে দাবি প্রশাসনের। কংসাবতী সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়র(১) বিশ্বনাথ কুমার জানান, গত কয়েক দিনে কংসাবতী ও কুমারী নদীর ঊর্ধ্ব গতিতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। সেই জল কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধারে জমা হয়েছে। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “কংসাবতী জলাধারে সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৪৪১ ফুট। এই মুহূর্তে জলাধারে সাড়ে ৪৩৪ ফুট জল রয়েছে (বিপদসীমা ৪৩৪ ফুট)। তাই ১০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। এ দিকে, কংসাবতীর জল রানিবাঁধের আকখুটা মোড়ের কাছে, কেচোন্দা ঘাটে নীচু সেতুর উপর দিয়ে বইতে থাকায় খাতড়া-রানিবাঁধ রাস্তায় যান চলাচল এদিন দুপুর তিনটে থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খাতড়া থেকে মুকুটমণিপুর, অম্বিকানগর হয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাস, ট্রেকার-সহ সব গাড়িকে। মহকুমাশাসক (খাতড়া) দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, “যে পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে তাতে আশঙ্কার কিছু নেই। তবু আমরা সতর্ক রয়েছি।” |
নতুন ভবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
বিভিন্ন কাজে আসা মানুষজনের সঙ্গে সুব্যবহার করে ও দ্রুত তাঁদের কাজ করে দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের পরামর্শ দিলেন রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। শনিবার খাতড়া মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানে আধিকারিক ও কর্মীদের মন্ত্রী সতর্ক করেন, “মানুষের কাজ দ্রুত না সারলে ক্ষোভ জন্মাবে। সরকারের বদনাম হবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি, মহকুমাশাসক (খাতড়া) দেবপ্রিয় বিশ্বাস, খাতড়া থানার আইসি স্বপন দত্ত প্রমুখ। |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু দু’জনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার ও পুরুলিয়া |
মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মানবাজার থানার এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত কনস্টেবল রোহিত ঘোষের (৫৫) বাড়ি বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার ধাদকিডি গ্রামে। সোমবার সকালে রোহিতবাবু ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন। পুঞ্চা থানার পায়রাচালি সেতুর কাছে উলটোদিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে রোহিতবাবু ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ দিনই সকালে পুরুলিয়ার চাকলতোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা ভাদু গোপ (৪০) নামে এক মহিলা মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। |