নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবং মদ, গাঁজা, হেরোইন, জুয়ার ঠেক ভাঙার দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ-অবরোধ ও থানা ঘেরাও হল বোলপুরে। রবিবার মধ্য রাতে বাড়িতে ও পাড়ায় হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযানের নামে ‘হেনস্থা’ ও ‘নিরপরাধ’দের গ্রেফতার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোলপুর শহর। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানা ঘেরাও করেন একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পাশাপাশি তাঁরা বোলপুরের ডাঙালিকালীতলা থেকে ত্রিশূলাপট্টি রাস্তা প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরোধ করেন। পরে বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা। |
থানা ঘেরাও বাসিন্দাদের। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শুঁড়িপাড়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে নেশার কারবার চলছে। অভিযোগ, নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে দু’জন আত্মঘাতী হয়েছেন। এর পরেই বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার রাতে বাড়িতে আগুন, নেশার ঠেকে ভাঙচুর করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়ি ও দোকানগুলি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনে ধৃত মঙ্গল সাহানি ও তাঁর নিকট আত্মীয়দের। রাতের ওই ঘটনার পরে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে নামে। মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করে। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ গ্রেফতারের নামে হেনস্থা করেছে এবং নির্দোষদের ধরেছে। তাই তাঁদের নিঃশর্ত ছাড়ার দাবিতে সোমবার কয়েকশো বাসিন্দা থানা ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনার নির্দেশে কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়। এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, বোলপুরের পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত। বৈঠক শেষে তিন জন বাদে বাকিদের ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। বিভিন্ন সময়ে তল্লাশি অভিযান চলে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তিন জনের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।” এ দিনই শান্তিনিকেতন থেকে ভূবনডাঙা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা ও মদের ঠেক ভাঙতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। |