চাকদহের হোমে অব্যবস্থা ফের তদন্ত
মাস খানেক আগেই সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন নদিয়ার চাকদহের ‘ভাগীরথী শিল্পাশ্রম’।
তারপরেও হোমের অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। হোমের সুপার প্রভাসচন্দ্র বসু কোনও রাখঢাক না রেখেই স্বীকার করলেন সে কথা।
তিনি জানান, হোমে এই মুহূর্তে ২৪১ জন আবাসিক রয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ অনুদানে এই হোম চলে। বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রীয় সাহায্য। আবাসিক পিছু মাসে মাত্র ৯৫০ টাকা বরাদ্দ করেছে-যা প্রযোজনের তুলনায় অপ্রতুল। তা-ও আবার সময়ে মেলে না। যে কারণে মেয়েদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না। সময়ে টাকা না পাওয়ার দরুন মুদির দোকানে ধার জমে যায়। অনেক মাসে দেখা যায় নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ-খরচা করে আর কোনও টাকা অবশিষ্ট থাকে না। সহৃদয় কিছু লোক মাঝেমধ্যে অর্থ সাহায্য না করলে হোম চালানোই দুষ্কর হয়ে পড়ত।
ভিতরে গিয়ে দেখা গেল ঘরগুলির অবস্থা ভীষণই খারাপ। দেখেই মনে হচ্ছে কত কাল যেন সংস্কার হয়নি। ইতস্তত ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা। অবশ্য এই অব্যবস্থা নিয়ে কোনও আবাসিকই মুখ খুলতে চাইছে না। প্রশ্ন করলেই উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা।
তবে কয়েকজন আবাসিক আমতা-আমতা করে জানালেন, এখানে থাকতে তাদের কোনও অসুবিধা নেই। সপ্তম শ্রেণির পুজা দে, চতুর্থ শ্রেণির রেহেনা খাতুনেরা বলে, “ সারাদিন লেখাপড়া, খেলাধুলো ও গল্প করেই সময় কেটে যায়।”
জেলাশাসক অভিনব চন্দ্র বলেন, “চাকদহের ওই হোমটি নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তদন্তও শুরু হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পদক্ষেপ করা হবে। সময় মতো অর্থ পাচ্ছে না বলে যে অভিযোগ সে ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.