বাংলার নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করতে নেমে পড়লেন রণদেব বসু। এ বার বড় ক্লাবকে মঞ্চ বানিয়ে।
সোমবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সই করে রণদেব বলে গেলেন, “এখনও ফুরিয়ে যাইনি।” গত মরসুমে বাংলার হয়ে চারটে ম্যাচ খেলার পর দীপ দাশগুপ্তের নির্বাচক কমিটি আবার রণদব সম্পর্কে ঠিক এর উল্টোটাই ভেবেছিল। যার জেরে এ মরসুমেও তিরিশ জনের প্রাথমিক দলে জায়গা হয়নি এই সুদর্শন পেসারের। |
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এ মরসুমে তাই তিনি যখন বল হাতে দৌড় শুরু করবেন, উল্টো দিকে শুধু ব্যাটসম্যানই থাকবে না। থাকবে সেই নির্বাচক কমিটি। থাকবে রণ-র বর্তমান ক্লাবেরও কেউ কেউ। যাঁরা একটা সময় রণকে ইস্টবেঙ্গলে নেওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। এমনকী তাঁকে নেওয়াও হয়েছে ম্যাচ পিছু চুক্তিতে। রণদেব অবশ্য চুক্তির কথা উঠলে বলছেন, “আইপিএল-এ পুণে ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ব্যস্ত থাকব। সঙ্গে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে ধারাভাষ্যের কাজ রয়েছে। তাই এ রকম চুক্তি।” ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাথমিক ভাবনায় তিনি যে ছিলেন না, সেটা মানছেন ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেট সচিব সদানন্দ মুখোপাধ্যায়। তা হলে কেন? ক্রিকেট সচিবের ব্যাখ্যা, “আমরা দেখলাম, রবিকান্তদের মতো তরুণ পেসারদের সাহায্য করবে রণ-র অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি বড় ম্যাচে এখনও রণ একটা ফ্যাক্টর।”
গত মরসুমে টাউনের হয়ে খেলেছিলেন রণদেব। বিশেষ চাপও নিতে হয়নি। কিন্তু এটুকু তিনি বুঝে যান, বড় ক্লাবে চাপ নিয়ে পারফরম্যান্স না করতে পারলে রঞ্জিতে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখার কোনও মানে হয় না। তাই এ বার নতুন লড়াইয়ের শপথ। যে লড়াইয়ে নামার আগে তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পিঠ চাপড়ানিও পেয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলে খেলার কথা তিনি অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন। মাস দু’য়েক আগে সৌরভের জন্মদিনে এক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে রণ তাঁর সেই পরিকল্পনার কথা জানান। সৌরভ সে সময়ই বলেছিলেন, “তুই ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছিস।”
রণদেব নিজে কী বলছেন? সবুজ মাঠ, লাল বল না রূপোলি পর্দা-- কোনটা তাঁকে কেরিয়ারের সায়াহ্নে বেশি ডাকছে? জবাবে তাঁর সোজাসাপটা উত্তর, “এই মুহূর্তে খেলা ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না। আমি যে বাংলার ৩০ জনের দলে নেই, এই ব্যাপারটাই আমাকে তাতাচ্ছে।” আর যে কমিটি গত বছর থেকেই রণকে বাংলা দলে ব্রাত্য করে দিয়েছে, তার প্রধান নির্বাচক দীপ এ দিন সব শুনে বললেন, “ভাল খেলতে পারলে নিশ্চয়ই দলে ফিরবে রণ।” |