চেন্নাইতেও বৃষ্টি হবে কি না, তা নিয়ে তর্ক করে কোনও লাভ নেই। ভারত-নিউজিল্যান্ড দু’দেশই চাইবে আজ অন্তত ম্যাচটা হোক। আমিও চাই।
বিশ্বকাপে যে সব দেশ খেলবে তাদের মধ্যে দেখছি ভারতের ব্যাটিং-ই সবচেয়ে অভিজ্ঞ। বৈচিত্রপূর্ণও বটে। যার প্রথম সাত জন হতে পারে সহবাগ, গম্ভীর, রোহিত, কোহলি, যুবরাজ, রায়না, ধোনি। শুধু এটা মাথায় রাখতে হবে প্র্যাক্টিস ম্যাচগুলোতে যেন খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা হয়। কারণ, ব্যাটসম্যানদের নিজেদের কাজটা কী সেটা বুঝতে হবে আর একসঙ্গে পারফর্ম করার অভ্যাসটা তৈরি করতে হবে। আমার কাছে ব্যাটসম্যানদের থেকেও বেশি রোমাঞ্চকর লাগছে ভারতের বোলিং বিভাগে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে অশ্বিন এবং হরভজনের মধ্যে তুলনা এবং দলে ঢোকার লড়াই।
অশ্বিন দারুণ লড়াকু ছেলে। ভুলে যাবেন না ভাজ্জিও কিন্তু তাই। এদের প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত লাভবান হবে কিন্তু ধোনির দলই। যদি বা ওদের বোলিং বৈচিত্র একই রকম দেখাতে পারে, তা সত্ত্বেও ওরা দু’জনেই কিন্তু প্রথম দলে জায়গা করে নিতে পারে। আর সেটা হলে বিপক্ষ কিন্তু চাপে থাকবেই। এদের সঙ্গে যোগ করতে পারেন যুবরাজের বাঁ-হাতি স্পিন। যা দারুণ কার্যকর। আর আমার তো সব সময়ই মনে হয় সহবাগ সীমিত-ওভারের ম্যাচের জন্য বিশেষজ্ঞ স্পিনার। কিন্তু অতটা কদর পায় না।
আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন, যুবরাজ কী ফিরে আসার চাপ সামলে পারফর্ম করতে পারবে? তাদের জন্য বলি, ও যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তাতে চাপের সংজ্ঞা ওর কাছে এখন অন্য রকম। সেই সময়ে ক্রিকেটের জেতা-হারার থেকেও বড় ছিল ওর লড়াই। ওকে শুধু মনঃসংযোগ ভাল রাখতে হবে। কারণ, চেন্নাইতেও ওর জন্য নিশ্চয়ই বিরাট অভিনন্দন অপেক্ষা করে আছে।
সব শেষে আপনাদের কাছে একটা প্রশ্নের জবাব জানতে চাইব। সদ্য পাকিস্তানের কাছে হেরে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং এখন দশ। আয়ার্ল্যান্ডেরও নীচে। এই ঘটনাটা আপনাদের কাছে কী রকম?
১) বিস্ময়কর,
২) দুঃখজনক,
৩) দারুণ,
৪) এ রকম হওয়ারই সময় এসেছে।
উত্তর খুঁজতে থাকুন। |