২০ সেপ্টেম্বর থেকে ফেড কাপের খেলা শুরু হবে শিলিগুড়িতে। সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে তারই প্রস্তুতি পর্ব ঘুরে দেখে খুশি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। ভবিষ্যতে এখানে আন্তর্জাতিক স্তরের ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করতে উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত। তিনি জানিয়ে দেন, শিলিগুড়ি ভারতীয় ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠুক এমনটাই তাঁরা চান। ফেডারেশনের তরফে এখানে ফুটবলার, কোচ, রেফারি প্রশিক্ষণের কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং ক্রীড়া দফতরের তৎপরতায় যে দ্রুততার সঙ্গে ফ্লাড লাইটের কাজ শেষ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম সাজিয়ে তোলা হচ্ছে তাতে ফুটবলে শিলিগুড়ির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে স্বপ্ন দেখছেন তাঁরাও। এই মাঠে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ম্যাচের আয়োজন নিয়ে উৎসাহী ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। আগামীতে ফের নেহেরু কাপ ফুটবলের মতো খেলাও এখানে করাতে চান তাঁরা। সুব্রতবাবুর সঙ্গে এ দিন শিলিগুড়িতে ছিলেন ফেডারেশনের কো-অর্ডিনেটর দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ও। |
সুব্রতবাবু বলেন, “দেশে ফুটবলের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠুক শিলিগুড়ি। এই রাজ্য যদি দেশের মধ্যে ফুটবলের মক্কা হয়ে থাকে তবে তা কেবল কলকাতায় সীমাবদ্ধ না থেকে শিলিগুড়িতে ছড়িয়ে পড়ুক আমরা তা চাই।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ফেডকাপের জন্য ফ্লাড লাইট জরুরি ছিল। ক্রীড়া দফতরের আর্থিক সহযোগিতায় সেই কাজ রেকর্ড সময়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। স্টেডিয়াম সংস্কার করা হচ্ছে। ফোসিন ব্লকে চেয়ার পাতা হচ্ছে। ফেডারেশনের তালিকা মতো পরিকাঠামো গড়া হয়েছে। উদ্বোধনে ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ফাইনালে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হবে।” সুব্রতবাবুর দাবি, ফ্লাড লাইটের সুবিধাযুক্ত ফুটবলের স্টেডিয়াম দেশের মধ্যে বেশি নেই। রাজ্যে ২টি। কোনও বড় খেলার আয়োজন নিয়ে ফেডারেশনে আলোচনা হলে চিন্তিত থাকতে হয়, খেলা কোথায় করানো হবে এই ভেবে। যেখানে ফ্লাড লাইট আছে সেখানে হয়ত মাঠ ঠিক নেই। যে কারণে ফেডকাপের ম্যাচ রাচির পরিবর্তে জামসেদপুরে করতে হয়েছে। আবার স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো ভাল না-থাকলে দর্শক আসবেন না। সঠিক এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামো অভাবেই দেশের ফুটবল পিছিয়ে রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। টাকা খরচ করে দেশের ফুটবলারদের অনুশীলনের জন্য দুবাই, বাসেলোনা পাঠাতে হচ্ছে। সুব্রতবাবু বলেন, “শিলিগুড়িতে যে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে তা দেখে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। আন্তর্জাতিক মানের ম্যাচ করানোর জন্য ফেডারেশনের সভায় জোর গলায় বলতে পারব।” সুব্রতবাবুর কাকা প্রদ্যোত দত্ত এক সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নেহেরু কাপ ফুটবলের আয়োজনের উদ্যোক্তাদের অন্যতম ছিলেন। সুব্রতবাবু জানান, সে কারণে শিলিগুড়ির প্রতি তার আলাদা টান রয়েছে। তিনি বলেন, “এখানে অনুশীলনের জন্য যে মাঠগুলি রাখা হয়েছে স্টেডিয়াম থাকলে সেখানেই বড় ম্যাচ হতে পারত। ফেডকাপের জন্য দ্রুততার সঙ্গে ফ্লাড লাইট এবং স্টেডিয়াম সাজিয়ে তোলার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ প্রাপ্য মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদেরও।” মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে টিকিট স্টেডিয়ামের কাউন্টারে মিলবে। টিকিটের দাম রাখা হয়েছে, ২০, ৩০, ৫০ টাকা। পড়ুয়াদের ১০ টাকা। স্কুল থেকেই তাদের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর ফাইনাল। |