উৎপাদন করলেই হবে না। জরুরি বিপণনও। সে কথা মাথায় রেখেই ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসারে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ (পিপিপি) ব্যবস্থায় বিপণনে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর। প্রথম এই বিপণন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হল দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার বিধানসভা ক্ষেত্র সবংয়ে।
সোমবার সবংয়ের এই কেন্দ্রটির উদ্বোধন হয়েছে। এখানে একটি দোকানেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পজাত নানা সরঞ্জাম বিক্রি হবে। সবংকে ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ ধরে রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত এই ধরনের বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানান খাদি গ্রামোদ্যোগের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “এ ভাবেই আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় পিপিপি মডেলে বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যাতে একই ছাদের তলায় সরকার নির্ধারিত দামে ক্রেতারা একাধিক সরঞ্জাম পেতে পারেন। স্থানীয় শিল্পীরাও তাঁদের তৈরি সরঞ্জাম বিক্রি করতে পারবেন।” |
ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প ও হস্তশিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের নতুন সরকার। শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র, ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চলতি আর্থিক বছরে ‘ন্যাশনাল ফাইবার মিশন’-এ কুটির শিল্পের উন্নয়নে ৯০ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। সেই টাকায় মাদুর, বাবুই ঘাস থেকে তৈরি নানা সামগ্রী, বাঁশ, পাটজাত দ্রব্য প্রভৃতি তৈরির উপর জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে বিপণনে। খাদি বোর্ডের আধিকারিক সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্তুজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় বা খাদি বোর্ডের সিইও এস কে রাম সকলেরই মতে, “ক্ষুদ্রশিল্পে বিপণন একটি জরুরি বিষয়। যথাযথ বিপণন না করতে পারলে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই উৎসাহ হারাবেন। তাতে ক্ষুদ্রশিল্পই ধাক্কা খাবে। তাই পিপিপি মডেলে বিপনণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
সব়ংয়ের প্রশান্ত অধিকারীর সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। প্রশান্তবাবু বস্ত্র বিক্রেতা। সবংয়েই তাঁর দোকান। এখানে রকমারি শাড়ির পাশাপাশি খাদি, মঞ্জুষা বা তন্তুজেরও সরঞ্জাম মিলবে। প্রশান্তবাবু বলেন, “এই সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে। আমার বিশ্বাস এর ফলে সবংয়ের ক্ষুদ্রশিল্পীরা আরও উৎসাহিত হবেন।” |