বেঙ্গালুরুতে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৈঠক সেরে আসার চার দিনের মাথাতেই ইনফোসিসের সঙ্গে যোগাযোগ করল রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, প্রকল্প নিয়ে সংস্থার পরবর্তী পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে তারা।
বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (সেজ) নিয়ে রাজ্যের ঘোষিত অবস্থান ইতিমধ্যেই জানে সংস্থা। তা মাথায় রেখে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি ঠিক কী ধরনের সমঝোতা সূত্রে আগ্রহী, তা জানাই এই যোগাযোগের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। উল্লেখ্য, রাজারহাটে শাপুরজি-পালোনজির প্রস্তাবিত সেজ-এ ইনফোসিসকে জায়গা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে রাজ্য যে ইঙ্গিত দিয়েছিল, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। কারণ, ওই সেজ গড়ার দায় থেকে মুক্তি চেয়েছে শাপুরজি। ১৪ সেপ্টেম্বর যে আবেদন খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় অনুমোদন পর্ষদ।
ইনফোসিসের লগ্নি যাতে রাজ্যছাড়া না-হয়, তার জন্য তার জন্য ফের তৎপর হয়েছেন খোদ শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত মাসে ইনফোসিস জমির লিজ-চুক্তি চেয়ে পাঠানোর পরই প্রকল্প নিয়ে নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছে রাজ্য। গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরও পার্থবাবু দাবি করেন এ রাজ্যে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে সংস্থা অটল।
তবে শেষ পর্যন্ত লগ্নি রাজ্যে আসার প্রধান শর্ত সেজ নিয়ে সমাধানসূত্র। ওই তকমার সুবিধা নিয়েই রাজ্যে ক্যাম্পাস গড়তে চায় ইনফোসিস। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, শুধু ওই সুবিধা না-পাওয়ায় রাজ্য ছাড়তে নারাজ তারা। যার কারণ রাজ্যের মেধাসম্পদ। এবং অবশ্যই তুলনায় কম খরচে ক্যাম্পাস চালানোর সুবিধা। যে সব কারণে গত কয়েক বছরে এ রাজ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে কগনিজ্যান্ট ও টিসিএস। এখন সেই একই সমীকরণ মাথায় রাখছে ইনফোসিসও। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহলের মতে, শেষ পর্যন্ত সেজ তকমা না-পেলে, কেন্দ্রের কাছে দরবার করে বিশেষ সুবিধা আদায়ই ইনফোসিসের পক্ষে শ্রেয়। এ বিষয়ে অবশ্য রাজ্যের সঙ্গে যৌথ ভাবে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে চায় ইনফোসিস। তবে রাজ্য চায় আগে নথিপত্র তৈরি করুক তারা। তার পর এগোবে সরকার। |