এক অষ্টাদশীকে ফুসলে সহবাসের মামলা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। মামলা তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে ওই তরুণীর দাদার নামে ধর্ষণের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পরিবারটির অভিযোগ। এমনকী তাঁকে
গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও তরুণীর মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
মাস তিনেক আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের তালবাংরুয়ার মহাজান্না গ্রামে ঘটনার সূত্রপাত। গ্রামেরই যুবক মতিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তরুণী। অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। তরুণীর মায়ের অভিযোগ, মতিবুর টাকার লোভ দেখিয়ে মামলা তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাঁরা রাজি না-হওয়ায় তাঁর ছেলেকে ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই ২টো নাগাদ বাড়ির বাইরে শৌচাগারে গেলে চার জন তাঁকে ধর্ষণ করে পালায়। শুক্রবার সকালে তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
শনিবার অভিযোগকারিণী মা-মেয়েকে নিয়ে জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনার বাংলোয় গিয়ে স্মারকলিপি দেয় তৃণমূল। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও তোলা হয়েছে। রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “আমাদের হরিশ্চন্দ্রপুরে সহ-সভাপতির কাছে সব শুনেছি। পুলিশ সুপারকে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করুন।” দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়েছেন মালদহ টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্তদের ধরা যায়নি।” |