টিউশন পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল কামারহাটির সগুফতা ইয়াসমিন। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পরে পুলিশ ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় পনেরো বছরের ওই কিশোরী শুক্রবার বাড়িতে ফিরে আসে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৬ জুলাই নিখোঁজ হয়ে যায় দশম শ্রেণির ছাত্রী সগুফতা। স্থানীয় যুবক মহম্মদ শামসের তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে বিহারের সমস্তিপুরে চলে গিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর বাবা কলিমুদ্দিন। এর পরে প্রায় এক মাস কেটে গেলেও তদন্তে অগ্রগতি হয়নি বলে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানান ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজন।
গত ২৪ অগস্ট যাদবপুরের একটি স্বেচ্ছসেবী সংস্থার কাছে সাহায্য চেয়ে লিখিত আবেদন জানান কলিমুদ্দিন। সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিহারে সমস্তিপুরে মেয়ে থাকতে পারে বলে কলিমুদ্দিন তাঁদের জানিয়েছিলেন। বিষয়টি জেনেই তাঁরা বিহারে সংস্থার অন্য লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মেয়েটি সম্পর্কে খবর, ফোন নম্বরও জোগাড় করা হয়। বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকেও।
৭ সেপ্টেম্বর সকালে বিহার থেকে কামারহাটি ফাঁড়িতে চলে আসে সগুফতা। সঙ্গে আসেন শামসেরের মা ও তাঁদের এক আইনজীবী। ওই দিনই সগুফতাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে ওই কিশোরী তার পরিবারের কাছে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে। আদালত তাকে কলিমুদ্দিনের হাতে তুলে দেয়। তবে মূল অভিযুক্ত শামসেরের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
কলেজে কটূক্তি শিক্ষিকাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ |
কলেজের সামনে কয়েক জন শিক্ষিকার প্রতি কটূক্তি এবং অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল কয়েক জন ‘বহিরাগতের’ বিরুদ্ধে। শুক্রবার টাকি কলেজের ঘটনা। চার জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ছিল কাউন্সেলিং এবং ভর্তির শেষ দিন। এক প্রতিবন্ধী ছাত্রীর কাউন্সেলিং নিয়ে আপত্তি তোলে কয়েক জন ‘বহিরাগত’। কলেজ গেটে বিক্ষোভ চলার সময় কয়েক জন শিক্ষিকা বেরিয়ে এলে তাঁদের প্রতি কটূক্তি এবং অশালীন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষিকারা লিখিত ভাবে অধ্যক্ষকে জানান। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হতে রাত হয়ে যায়। পুলিশ প্রহরায় শিক্ষিকাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং এসডিপিও-কেও ঘটনার কথা জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, “এক ছাত্রীর ভর্তি নিয়ে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা হয়। কিন্তু তা নিয়ে যা হল, তা লজ্জার। শিক্ষিকাদের যারা কটূক্তি করেছে, তাদের নাম আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি।” |