এক ঝলকে...
পৃথিবী
শার্লট (নর্থ ক্যারোলাইনা) কলম্বো মালে ইস্তানবুল ইসলামাবাদ
ওবামা এমনিতে ‘কুল’, কিন্তু তাঁর ভেতরে আমেরিকার জন্য আবেগের আগুন জ্বলছে! এই বলে বিল ক্লিন্টন অনেকখানি এগিয়ে দিলেন ওবামাকে। অসাধারণ সুবক্তা ক্লিন্টন দেখালেন আজও কী ম্যাজিক তাঁর মধ্যে। ম্যাজিকই বটে, তাই দরকারে সুর পাল্টাতে দেরি হয় না। ২০০৮-এর নির্বাচনে স্ত্রী হিলারির প্রতিযোগী ছিলেন বলে ওবামা বিষয়ে অ্যাদ্দিন কম কুকথা বলেননি ক্লিন্টন। ‘ও বিশ্বদুনিয়ার কিছুই বোঝে না’, ‘আর ক’দিন আগে হলেও ও আমাদের কফিবাহক হত’: এ সব উক্তিও এই ‘ম্যাজিকাল’ বক্তারই। ধন্য রাজনীতি।

• ১৬ বছরের মেয়ে বিবাহপূর্ব যৌন-সম্পর্কের দায়ে ১০০ চাবুকের শাস্তি পেতে চলেছে। মলদিভস্ দেশের আদালত এই রায় দিয়েছে। তবে কি না, মেয়েটি এখনও বয়ঃপ্রাপ্ত নয় বলে এই শাস্তি আপাতত জমানো থাকবে। ১৮ বছর বয়স হলে তবেই শাস্তি ভোগ করবে সে।

• তুরস্ক উপকূলের কাছে নৌকোডুবিতে ৬০ জনের মৃত্যু। নিহতদের মধ্যে অনেকগুলি বাচ্চাও ছিল। এঁরা নাকি প্যালেস্তিনীয়, নৌকোয় সাগরপাড়ি দিয়ে গ্রিস হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকে প্রাণধারণের চেষ্টায় ছিলেন।

• পাকিস্তানের সেই ১১ বছর বয়সে মেয়েটি জামিনে ছাড়া পেল। ধর্মদ্রোহের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। নাবালিকার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে গোটা পৃথিবীতে হইচই হলেও পাকিস্তানে কিন্তু হাতে-গোনা মানুষের সমর্থন পাচ্ছে সে।


• মহেন্দ্র রাজাপক্ষ সুবিবেচকের মতো কথা বলছেন! অবাক হলেও সত্যি। তামিল নাড়ুতে সম্প্রতি সিংহলিদের উপর আক্রমণের প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কায় তুমুল শোরগোল। এরই মধ্যে রাজাপক্ষের ভারত সফরের কথা। সেই সফর বন্ধ হোক, দাবি উঠছে তাঁর দেশে। রাজাপক্ষের বক্তব্য: এই কাজ তো হাতে-গোনা ক’টি লোকের, ভারত সরকারের তো নয়! ভারত সরকার তো গোলমাল মিটিয়ে নিতেই চায়!
কায়রো

‘ইতিহাসের দিকে একটু তাকান। দেখুন, তিউনিশিয়া থেকে লিবিয়া, মিশর থেকে ইয়েমেন, কোথাও স্বৈরাচারী শাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এখনও সময় আছে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান। যারা আপনাকে উল্টো কথা বলছে, তাদের কথা শুনবেন না। আপনার হাতে আর বেশি সময় নেই।’ বক্তার নাম মহম্মদ মুর্সি, মিশরের প্রেসিডেন্ট। যাঁর উদ্দেশে কথাগুলো বলেছেন, তাঁকে আপাতত গোটা দুনিয়াই এক কথা বলছে। তিনি সিরিয়ার একনায়ক প্রেসিডেন্ট বাশার অল-আসাদ। মুর্সির কথাগুলো ব্যতিক্রমী নয়। তবে, যাঁরা ভেবেছিলেন যে মুর্সি নেহাতই মিনমিনে নেতা হয়ে থাকবেন, মুসলিম ব্রাডারহুডের হাতের পুতুল হয়ে থাকবেন, তাঁরা বোধহয় ঠিক বলছিলেন না। অনেক ব্যাপারেই অপ্রত্যাশিত জোর দেখাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মুর্সি।

মস্কো
কী বললেন, সেই সোভিয়েত ইউনিয়ন আর নেই, যেখানে রাষ্ট্রই নাগরিকদের বলে দিত তাঁরা কী খাবেন, কী পরবেন? তা হলে শুনুন। রাশিয়ার সর্বময় নেতা ভ্লাদিমির পুতিন সে দেশের পাখিদের উড়তে শেখাচ্ছেন। পরিযানের পথে তারা কী ভাবে উড়বে, কোথায় বাঁক নেবে, সবই শিখিয়ে দিচ্ছেন ‘জীবপ্রেমী’ নেতা। এক ঝাঁক পরিযায়ী সারসকে পথ চেনাতে বিমান নিয়ে আকাশে উড়ে পড়েছিলেন ৬০ বছরের পুতিন। রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তাঁর ভাবমূর্তি দেশে রীতিমত খারাপ। দুনিয়ায় খারাপতর। কুলোকে বলে, ইমেজ ঠিক করতেই একের পর এক ‘স্টান্ট’-এর খোঁজে থাকেন এই নেতা। কেন, ক্ষমতাপ্রেমী আর জীবপ্রেমী কি একসঙ্গে হওয়া যায় না?

লন্ডন
‘হ্যাড্রিয়ান’স ওয়াল’-এর কপাল খারাপ, চিনের প্রাচীরের মতো খ্যাতি সে অর্জন করতে পারেনি। দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাটদের পরামর্শে তৈরি, ব্রিটেনের প্রাচীন দ্রষ্টব্যগুলির অন্যতম সেরা এই হ্যাড্রিয়ান-এর প্রাচীর দৈর্ঘ্যে ৭৩ মাইল (১২০ কিলোমিটার)। ইংল্যান্ডের উত্তরে নিউকাস্ল থেকে কার্লাইল পর্যন্ত এই প্রাচীর, দুই দিকে দুই সাগর। খবর হল, এই দেওয়াল বরাবর আলোর বেলুন লাগিয়ে দিয়েছে নিউ ইয়র্ক ডিজিট্যাল স্টুডিয়ো ইয়েস-ইয়েস-নো। কেন? প্রাচীর যে কেবল ভাগাভাগিই নয়, যোগাযোগও বটে, এই কথাটাই মনে করাতে চায় বেলুনের আলো। এক বেলুন থেকে অন্য বেলুনের আলো ছড়িয়ে পড়বে, আর বিভিন্ন রকম বার্তা পাঠানো যাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।

ল্যাঙ্কাশায়ার
দিনকয়েক আগে ১৩,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে মাটিতে পড়েছিলেন ৩৫ বছরের লিয়াম দুন। স্কাইডাইভিং করছিলেন, কিন্তু তাঁর প্যারাসুটটি খোলেনি। কপালজোরে জলাজমিতে পড়েছিলেন তিনি, তাই প্রাণে বেঁচেছেন। আমরা নির্ঘাত বলতাম, এই বিপজ্জনক খেলা এখনই বন্ধ হোক। দুন কিন্তু বলছেন, ‘স্কাইডাইভিং চমৎকার খেলা এর আগেও চার হাজার বার লাফিয়েছি, কিস্যু হয়নি। এ বার নেহাতই দুর্ঘটনা।’

শেষ পাত
চাকরি আছে। খুবই সামান্য খাটনি, মাইনে ভাল। কিন্তু, শুধু পুরুষদের জন্য। কলম্বোয় ইন্টারভিউ চলছে। দু’টি পদ খালি, প্রার্থীর সংখ্যা ১৭৬। ও হ্যাঁ, চাকরিটা ফাঁসুড়ের। যে দু’জন ফাঁসুড়ে ছিলেন, তাঁদের এক জনের পদোন্নতি হয়েছে, অন্য জন রিটায়ার করেছেন। দেশে এখন মোট ৪৮০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আছে, কিন্তু ফাঁসুড়ে নেই। এত জন আসামি, তবে আর কাজ হালকা কোথায়? মূলত বৌদ্ধ দেশ শ্রীলঙ্কায় ফাঁসির আদেশ হয় বটে, কিন্তু ১৯৭৬ থেকে এক জনেরও ফাঁসি হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে, সম্ভাবনা কম। আচ্ছা, মেয়েরা এই পদের জন্য বিবেচিত হচ্ছে না কেন? তারা কি কম নিষ্ঠুর?


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.