কুয়োয় পড়ে মৃত্যু ভাই-বোনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
খোলা পড়ে থাকা সেই কুয়ো। নিজস্ব চিত্র। |
খোলা কুয়োয় পড়ে ফের শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটল। হরিয়ানা থেকে গুড়গাঁও, একের পর এক ঘটনাতেও যে হুঁশ ফিরছে না তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল শনিবার দুর্গাপুরে। কুয়োয় পড়ে মারা গেল সাড়ে তিন ও দেড় বছরের দু’টি শিশু। দুপুরে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝরনাপল্লিতে রিকশাচালক মুকুল রায়ের টালির চালের বাড়ি। পিছনের উঠোনে খোলা কুয়ো। কোনও পাড় নেই। মুকুলবাবুর স্ত্রী ঝুমা গিয়েছিলেন অন্যের বাড়ি কাজ করতে। বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন মুকুলবাবুর বোন বিমলা। সাড়ে তিন বছরের ঘরে রনি বোনকে নিয়ে খেলছিল। হঠাৎই বিমলার খেয়াল হয়, তাদের সাড়া শব্দ মিলছে না। কুয়োয় পড়ে যায়নি তো? তাঁর চিৎকারে পাড়াপড়শি ছুটে আসেন। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। পরে ভাই-বোনের নিথর দেহ তুলে আনা হয়। আচমকা এই ঘটনায় পরে কার্যত বাকরহিত হয়ে গিয়েছেন শিশু দু’টির পরিজনেরা। মুকুলবাবুর কথায়, “আমাদের তো ওরাই সম্বল ছিল। আর আমাদের জীবনের কোনও মানে রইল না।” বিমলা হা-হুতাশ করে চলেছেন। কিছু বলতে গেলেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন ঝুমা। এলাকার শ্যামল বসু, স্বপ্না প্রামাণিকেরা বলেন, “রোজই কুয়োটি দেখি। এমন কিছু হতে পারে, ভাবিনি। আজ যা ঘটল, এর পরে আর পাড়ায় কোনও কুয়ো খোলা রাখব না।” স্থানীয় কাউন্সিলর শাশ্বতী কর্মকারের আশ্বাস, “পুরসভায় এই প্রসঙ্গ তুলে সচেতনতা গড়ার চেষ্টা চালাব।”
|
‘অপহরণ’, বর্ধমান থেকে গ্রেফতার দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
থানায় ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র। |
অপহরণ, বেআইনি অস্ত্র রাখা ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে বর্ধমানের কার্জন পার্ক এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান পুলিশ। ধৃতদের নাম আনার হুসেন ও বিশ্বজিৎ গড়াই। তাদের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। চন্দ্রকোনার বাসিন্দা মিনসারুল সরকার নামে এক জনকে তারা অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ। তাকেও আটক করা হয়েছে। ধৃতদের ৩ সঙ্গী পলাতক। শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে বর্ধমানের কার্জন গেট এলাকায় একটি চার চাকার গাড়িকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। গাড়িতে চিৎকারের শব্দ ও ধস্তাধস্তির আভাসও পাওয়া যায়। গাড়িটিকে আটক করা হলে তিন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। আনার হুসেন ও গাড়ির চালক বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, ইলিয়াস নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বাসিন্দার তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তুরে একটি সোনা-রুপোর দোকান রয়েছে। সে মিনসারুলকে গয়না তৈরির জন্য ১ কেজি সোনা দিয়েছিলেন। মিনসারুল তা আত্মাসাৎ করে। ধৃতদের দাবি, ওই সোনা আদায় করতেই মিনসারুলকে অপহরণের জন্য আনার হুসেন ও বাকি তদিন জনের দলটিকে নিয়োগ করেছিলেন ইলিয়াস নামে ওই ব্যক্তি।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
স্কুলের নথি সরানো ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বজিৎ সাহা নামে এক কর্মচারি ও দিলীপকুমার ঘোষ নামে পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সম্পাদককে গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে ধরে শনিবার সকালে তাঁদের কাটোয়া আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের দু’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |