শহরে অটো রিকশা পরিষেবা চালু করতে পুরসভার পক্ষ থেকে পরিবহণ দফতরের অনুমতি চাওয়া হলেও, তা না মেলায় ক্ষুদ্ধ পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, অটো রিকশা চালাতে চেয়ে আবেদনের পরে ছয় মাস কেটে গিয়েছে। রিকশা নিয়ে বাসিন্দাদের ভোগান্তি কমাতে শহরে অটো পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত হয়। মাস ছয়েক আগে বোর্ড মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় পুর কর্তৃপক্ষ। ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, “ইসলামপুর শহরে অটো রিক্শা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই জেলার পরিবহণ দফতরে দেখা করেছি। এর পরে অনুমোদন চেয়ে চিঠিও পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বুঝতে পারছি না।” পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের কলেজ মোড় থেকে মিলনপল্লি এলাকা পর্যন্ত ৫ কিমি রাস্তা এবং স্টেশন রোড এলাকায় অটো রিকশা চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার পরিবহণ আধিকারিক তপন মল্লিক বলেন, “পুরসভার আবেদন পেয়েছি। শহরে অটো রিকশা চালাতে পরিবহণ দফতরের থেকে অনুমোদন নিতে হয়। সেই মত কলকাতায় কাগজ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললেই অটো চালানোর বিষয়ে সমস্যা হবে না।” অটো রিকশা চালানোর পুরসভার সিদ্ধান্তে খুশি বাসিন্দারাও। শহরবাসীর দাবি, অটো পরিষেবা চালু হলে শহরবাসীর যাতায়াতের সময় বাঁচবে। ভোগান্তি কমবে। এক শ্রেণির রিকশা চালকদের দৌরাত্ম্য কমবে। পুরসভার ভাড়ার তালিকা না মেনে একাংশ রিকশা চালক ইচ্ছেমত ভাড়া দিতে যাত্রীকে বাধ্য করেন। বাসস্ট্যান্ড বা রেল স্টেশন ওঠা যাত্রীদের বিভিন্ন এলাকায় যেতে থেকে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দবি করা হয়। রিকশা চালকদের উপরে পুরসভা বা প্রশাসনের নজরদারির না থাকায় এই সমস্যা চলছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। পুর কর্তারাও পুরো বিষয়টি জেনেও নীরব বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে ৮০০ মত রিকশার বৈধ অনুমতি রয়েছে। যদিও বর্তমানে শহরে ১২০০ রিকশা চলাচল করে। কোনও লাইসেন্স বা অনুমতি ছাড়াই ৪০০ রিকশা চলাচল করছে। পুরসভা পদক্ষেপ করে না বলে অভিযোগ। শহরে অটো রিকশা নামলে রিকশার দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমত বলে বাসিন্দারা মনে করছেন।
|
পুজোর মুখে মালদহ শহরে পুরসভার হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। ইংরেজবাজার পুরসভার তরফে ওই অভিযান চলছে। আগামী ২৯ অগস্ট মালদহে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের প্রাক্কালে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। সাবিত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সঙ্গে হকার উচ্ছেদের কোনও সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী কখনই হকার উচ্ছেদ করতে কাউকে বলবেন না। আমার কাছে মালদহ মাচের্ন্ট চেম্বার অব কমার্সের লোকজন এসেছিলেন। তাঁদের বলে দিয়েছি, আপনারা আবার ফুটপাতে দোকানঘর বসিয়ে দিন। শহর পরিস্কার হোক তা আমিও চাই। তবে কখনও হকারদের উচ্ছেদ করে নয়।” রবিবার জেলাশাসক শ্রীমতি অচর্না বলেন, “শহরে হকার উচ্ছেদ হচ্ছে নাকি? আমার জানা নেই।” ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী অবশ্য দাবি করেছেন, জেলা প্রশাসন ও পুরসভা যৌথভাবে শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। জেলাশাসক কি করে বলছেন কিছুই জানেন না? যদি নাই জেনে থাকেন তবে হকার উচ্ছেদের সময় সদর মহকুমাশাসককে কেন থাকতে বলা হয়েছিল।” পাশাপাশি, তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে পুরসভা শহর পরিস্কার করছে না। চেয়ারম্যান বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সফরে এসে যদি দেখেন মালদহ শহর অপরিচ্ছন্ন। তখন আগামী দিনে পুরসভা কোনও বরাদ্দ পাবে না। সেজন্য শহরকে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই সমস্ত হকার উচ্ছেদ করে পরিস্কার করা শুরু করেছি। বেছে বেছে নয়, ফুটপাতে যাদের দোকান ভর্তি জিনিস ছিল, তারা কয়েকদিন সময় চেয়েছিল। সে জন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ফুটপাত উচ্ছেদ করা হবে।”
|
টিউশনে যাওয়ার পথে মানিকচকে দশমশ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে খুন করার ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরও পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে না-পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। কেন এখনও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারেনি তা জানতে চেয়ে রবিবার ক্ষুব্ধ মন্ত্রী জেলা পুলিশ সুপারকে ফোন করেন। তিনি বলেন, “আমি মানিকচক থানায় গিয়ে পুলিশকে বলেছিলাম যারা ছাত্রীকে খুন করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করুন। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পুলিশ এক জনকেও গ্রেফতার করল না। ছাত্রী খুন হবে আর অপরাধীদের পুলিশ ধরবে না, এটা কিছুতে মেনে নিতে পারব না।” পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেফতারে সব রকম চেষ্টা চলছে।” মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে বহুবার মিটিং করতে বলেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসন আমলই দেয়নি।”
|
গাড়ি জোগাড় করতে নানা ঝামেলা। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় পৌঁছতে ট্রেনের উপরে জোর দিচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস। বুনিয়াদপুরে ৩১ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সভা। সভায় যোগ দিতে বালুরঘাট-নিউ জলপাইগুড়ি ইন্টারসিটি এবং বালুরঘাট-কাটিহার ভায়া মালহদ ডেমু ট্রেনের উপরে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। বুনিয়াদপুরে রেলের কামরা তৈরির কারখানার শিলান্যাস করে সভায় ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতিটি ব্লক থেকে ৪০টি গাড়ির ব্যবস্থা করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের বুনিয়াদপুরের সভাস্থলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ভাড়ার টাকা জোগাড় কী ভাবে হবে তা নিয়ে ব্লক কমিটিগুলি প্রশ্ন তোলে। বালুরঘাট, হিলি, কুমারগঞ্জ, তপন ও গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে দলের অধিকাংশ কর্মী-সমর্থককে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চাপিয়ে বুনিয়াদপুরের সভায় হাজির করানোর উপর জোর দেওয়া হয়।
|
আদালতে আনার পথে অপহরণের অভিযোগে ধৃত এক বিচারাধীন বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়ল। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম দিলীপ চৌহান। এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে দেওয়ার ‘কুলেন ওয়াটার’কে জল ভেবে খেয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এ দিন রায়গঞ্জের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত যুবককে আদালত থেকে পুলিশের একটি জিপে করে হেমতাবাদ থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সেই সময় কর্ণজোড়া এলাকায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকালে সুস্থ হওয়ার পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
|
এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে চাকুলিয়ার নিজামপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের আনুমানিক বয়স ২০ বছর। রাতে ওই এলাকাতে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সম্ভবত সর্পাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। |