প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন এক প্রসূতি। চিকিৎসক আলট্রা সোনোগ্রাফি করানোর পর জানিয়ে দেন, প্রসবে আরও ৬ সপ্তাহ বাকি। রোগীর আত্মীয়েরা ভর্তি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে চিকিৎসক কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। অপমানিত বোধ করলেও অন্য এক চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিনই ফের নতুন করে টিকিট কেটে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন প্রসূতি। আলট্রা সোনোগ্রাফির রিপোর্ট আর চিকিৎসকের ‘ধারণা’ ভুল প্রমাণ করে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
এই ঘটনার পর ফের মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধর্মপুর গ্রামের বধূ সোমা সাউয়ের স্বামী চন্দ্রশেখরবাবু। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার শ্যামল পট্টনায়েক বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর ৩ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সে দিন কোন চিকিৎসক ছিলেন, তিনি কী আচরণ করেছেনসবই খতিয়ে দেখবে কমিটি। কমিটির রিপোর্ট জমা পড়লেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”
সোমাদেবী ২০ তারিখ দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন। সে দিন চিকিৎসক দেখার পর আলট্রা সোনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালেই আলট্রা সোনোগ্রাফি করেন সোমাদেবী। পরদিন রিপোর্টে দেখা যায়, বাচ্চার বয়স হয়েছে ৩৪ মাস। ওজন ২ কেজি ১৮২ গ্রাম। রিপোর্ট দেখার পরই সোমাদেবীকে ছুটি দিয়ে দেন চিকিৎসক। সোমাদেবী ‘লেবার পেন’-এর কথা জানিয়ে থাকতে চাইলে কটূক্তিও করা হয় বলে অভিযোগ।
সোমাদেবীর কথায়, “চিকিৎসক ছুটি দিলেও আমি হাসপাতাল থেকে যেতে রাজি হইনি। তখন চিকিৎসক বলেন, বাড়িতে নাকি খেতে পাই না আমি। বড় মাছের পিস খেতে হাসপাতালে এসেছি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। চিকিৎসকের ওই মন্তব্য মানতে পারিনি।” আর চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “আমার মতো কত জনের ক্ষেত্রে যে এমন হচ্ছে তা কে জানে! এই ভাবে অপমান করার অধিকার নেই কারও। ওই চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” |