নির্মাণের মাস ছ’য়েকের মধ্যেই বেহাল হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অপেক্ষমান রোগীদের ছাউনি। ঘটনাটি মানবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এর ফলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসা অপেক্ষমান রোগী ও তাঁদের বাড়ির লোকেদের এখন রোদ-বৃষ্টির মধ্যে চরম কষ্টে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভাবে নিম্নমানের জিনিস দিয়ে তৈরি হওয়ায় এত তাড়াতাড়ি ওই ছাউনি ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ফাইবারের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। অব্যবস্থার কথা জানিয়ে মানবাজারের বিডিও-র কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মানবাজার গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের কথা ভেবে একটি ছাউনি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ব্যয় হয় ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। নির্মাণের দায়িত্বে ছিল মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতি। ২০০৯-এর ডিসেম্বরে নির্মাণের পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। ২০১১-এর অক্টোবর মাসে এই ছাউনি তৈরি করা হয়। কিন্তু মাস ছ’য়েক পরে ফাইবারের ছাউনি রোদের তাপে নষ্ট হয়ে পড়ে। এখানে চিকিৎসা করাতে আসা মানপুর গ্রামের বাসিন্দা বৃহস্পতি বাউরি, রাঙ্গাটাড় গ্রামের বাসিন্দা গোপাল মাহাতো বলেন, “আচ্ছাদন উড়ে যাওয়ার ফলে সেই তো ভিজতে হচ্ছে। বেশিক্ষণ রোদেও দাঁড়াতে পারছি না।” স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভাবে ওই ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল। ছাউনির চারপাশ উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ায় দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। নিম্নমানের ফাইবারের ছাউনি ব্যবহার করায় তা বেশিদিন টিকল না। আবার রোগীদের বসার জন্য কোনও জায়গাও তৈরি করা হয়নি। অপরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট ছিল। মানবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিং হাঁসদা বলেন, “ওই ছাউনির বেহাল অবস্থার বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে। মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “ছাউনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানি।” তাঁর আশ্বাস, “শীঘ্রই মেরামত করা হবে।” |