তুলে নিয়ে গিয়ে ছুরি ছাত্রীকে, অভিযুক্ত ৪
টিউশন থেকে ফেরার পথে এক কিশোরীকে গাড়িতে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাহত করে ফেলে রেখে পালাল চার দুষ্কৃতী। রবিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির জংশন এলাকার কুলিপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিয়া বিশ্বাস নামের জখমও ওই কিশোরীকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর ডান হাতে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধরও করেছে বলে অভিযোগ। সুপ্রিয়া শহরের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ কলোনিতে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করছিল। তার পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা করে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) ওজি পাল বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। কিশোরীর সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিয়া বিবাহিত। দুর্গাপুরে তার বিয়ে হয়েছে। ১৫দিন আগে সে মামার বাড়িতে আসে। তিনবাতি এলাকার একটি ‘ওপেন স্কুলে’ সে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনো করছিল। সুপ্রিয়ায় মামা এদিন তাকে স্কুলে দিয়ে আসেন। ফেরার সময় সন্ধ্যায় অটো করে সুপ্রিয়া এয়ারভিউ মোড়ে আসে। জংশনে ফেরার অটো না পেয়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিল। মহানন্দা সেতুর উপর থেকে ছোট গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা তাকে তুলে নেয় বলে ওই কিশোরীর মামা অমর দাস অভিযোগ করেছেন। অমরবাবু জানান, সুপ্রিয়া গাড়ির চারজনের কাউকে চিনতে পারেনি। মারধর করে দুষ্কৃতীরা ওর ডান হাতে ছুরি দিয়ে কেটে দিয়েছে। ঘটনার সময় আমি ওর মোবাইলে ফোন করি কোথাও আছে জানতে চেয়েছিলাম। চিৎকার করে অপহরণের কথা বলে। এরে পরে দুষ্কৃতীরা মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে কুলিপাড়ায় জংশন রেল পুলিশের দফতরের পিছনে ফেলে রেখে পালায়। আমরা অনেক খোঁজাখুজি করে ওকে পাই। এমন কেন হল বুঝতে পারছি না।
স্থানীয় সিপিএম কাউন্সির তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম ঘটনার পরেই পুলিশকে টেলিফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। নুরুলবাবুর বক্তব্য, “শহরে কী হচ্ছে! খুন, ছিনতাই অপহরণ কোনটাই বাদ নেই। পুলিশ কী করছে আমরা বুঝতেই পারছি না।” একই ভাবে এদিন সকালে শহরের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য শাসক জোট কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, “শহরে অবস্থার খুব খারাপ। পুলিশ মহিলাদের সোনার অলঙ্কার না পড়ে বার হতে বলছে। সঙ্গে লঙ্কার গুড়ো রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একেবারে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের নেতারা সমাজবিরোধীদের আশ্রয় দিচ্ছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে ভয় পাচ্ছে।” অশোকবাবুর দাবি, কয়েকদিন আগে শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে একটি খুন হয়। তাতে এক কংগ্রেস কর্মী জড়িত ছিল। এইভাবে চলতে থাকলে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। যদিও প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার। প্রাক্তন মন্ত্রীর অভিযোগ নসাৎ করে দিয়ে পুলিশকে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “অশোকবাবু এখন অপ্রাসঙ্গিক লোক। উনি পঞ্চায়েত সদস্য বা দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও নন। এমন লোকের কথার কোনও উত্তর দেওয়ার মানে হয় না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.