ঈদ শেষ। ক্যালেন্ডারের পাতায় আপাতত আর কোনও উৎসব নেই। ভাদ্র মাসে পঞ্জিকা মতে বিবাহাদি শুভ কাজ হয় না। আশ্বিন তো মল মাস। সেই অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে দুর্গা পুজো। শুরু হয়ে বৃষ্টিও। তা হলে এখন বাজার তো আয়ত্তের মধ্যে নেমে আসা উচিত। কিন্তু সে কথা শুনছে কে? কিছু শাক সব্জি ছাড়া প্রায় সব জিনিসপত্রেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী।
চাল ডাল চিনি আটা থেকে শুরু করে পাঁউরুটি, বিস্কুট, চা, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য সব কিছুরই দাম চড়ছে। পোশাক বা প্রসাধনীর দাম বৃদ্ধির হার ব্যবসায়ীদের রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে পুজোর বাজার নিয়ে।
শহরের এক ছোট ব্যবসায়ী কার্তিক বিশ্বাসের কথায়, “মুদিখানার দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা কেনাকেটা কমিয়ে দিয়েছেন। চিনি দু’মাসে ৩০ টাকা কেজি থেকে ৪৫ টাকা কেজি হয়ে গিয়েছিল। তারপরে কখনও তা কমে ৩৮ বা ৪০ হয়েছে। ফলে ক্রেতা কখন কতটা কিনবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। তাই নিরাপদ থাকতে অনেকেই অল্প অল্প করে কিনছেন। তাতে আমাদের দাম আটকে যাচ্ছে।”
দাম কমেছে কিছু বর্ষাকালীন সব্জির। যেমন পটোল, ঝিঙে, ঢেঁড়শ ২০-২৫ টাকা কেজি থেকে নেমে এসেছে ১০-১২ টাকায়। ১০ টাকার লঙ্কা ৫ টাকা। ফুলকপির দাম কখনও বেশি কখনও কম। ফলের বাজারও তুলনায় সস্তা। ফল ব্যবসায়ী সুবাস সাহা বলেন, “এখন ফলের দাম একটু কম। কেননা সামনে তেমন বড় কোনও পুজো নেই।”
মাছের বাজার কার্যত হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না। বর্ষার প্রিয় ইলিশের ছবি দেখেই খুশি থাকতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাকে। এক কেজির কাছাকাছি হলেই দাম দাঁড়াচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। সাত আটশো গ্রাম হলে দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। বৃষ্টি ভাল হয়নি বলে মাছের বাজারে অন্য মাছেরও আকাল বলে দাবি মাছ ব্যবসায়ীদের।
নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সাহা বলেন, “লাগাম ছাড়া দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। একে তো মন্দার মরসুম। তারপরে লোকে কেনাকেটা কমিয়ে দিয়েছেন। সবাই পুজোর আগে হাতে কিছু নগদ রাখতে চাইছেন।” |