|
|
|
|
বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দ্রুত গতিতে বিধায়ক তহবিলের অর্থ খরচে উদ্যোগী হল প্রশাসন। এ ব্যাপারে বিধায়কেরা যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেন, তার রূপরেখা তৈরি করতে রবিবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে বৈঠক করল জেলা প্রশাসন। যেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৯ জন বিধায়ককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন অরিন্দম দত্ত, জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার মাত্র ৭ জন বিধায়ক তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করতে পেরেছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে চলতি আর্থিক বছরের জন্য বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকিরা অর্থ খরচ করতে না পারায় বরাদ্দ চাওয়া যায়নি। এতে উন্নয়ন ধাক্কা খাবে। যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রত্যেক বিধায়ককেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার আবেদন জানান জেলাশাসক। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
বর্তমানে বিধায়কেরা বছরে এলাকা উন্নয়নের জন্য ৬০ লক্ষ করে টাকা পান। এই টাকায় এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়। তার জন্য নিয়ম মেনে প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে জেলা পাঠাতে হয় জেলা প্রশাসনের কাছে।
বেশিরভাগ বিধায়ক প্রকল্পই তৈরি করতে পারেননি। প্রকল্প রিপোর্ট জমা না দিলে এই খাতের অর্থ খরচ করা যায় না। কোনও প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যদি এই খাতে টাকা পেতে চান তাহলে বিধায়কের অনুমতিপত্র-সহ প্রকল্প জমা দিতে হবে প্রশাসনের কাছে। মঞ্জুর হলে টাকা মিলবে। প্রশাসন জানিয়েছে, এক দিকে প্রকল্প জমা পড়ছে না। যেটুকু কাজ হচ্ছে, তা-ও ঢিমেতালে। অন্য দিকে, বিধায়কদের বক্তব্য অনেক ক্ষেত্রেই যথাসময়ে প্রকল্প জমা দিলেও অর্থ বরাদ্দে দেরি হয়। কাজ কতটা এগোল, সে ক্ষেত্রে যথাযথ নজরদারিও থাকে না। পরিকাঠামোগত সমস্যার কথাও জানিয়েছেন বিধায়কেরা। তবে এ ক্ষেত্রে বিধায়কদেরই দায়িত্ব নিতে হবে বলে জেলাশাসক জানান। বিধায়কেরাও অর্থ খরচে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|