|
|
|
|
গোয়ালতোড়ে অভিযুক্ত তৃণমূল |
সিপিএমের মহিলা প্রধানকে মারধর
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোয়ালতোড় |
রাস্তায় ফেলে সিপিএমের মহিলা প্রধানকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালতোড় ব্লকের পিয়াশালা পঞ্চায়েতের বগড়িডিহি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শনিবার গোয়ালতোড় গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কল্পনা বিশ্বাস নামে পিয়াশালা পঞ্চায়েতের ওই প্রধান স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা-সহ ১০ জনের নামে থানায় অভিযোগ জানান। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “গোটা রাজ্যেই এখন মহিলারা তৃণমূলের লোকেদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। তা সত্ত্বেও এক মহিলা প্রধানকে তাঁরই দলের লোকজন মারধর করল। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করল না এখনও।”
প্রকারান্তরে ঘটনার দায় স্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রবি রায় বলেন, “ঘটনাটি নিন্দনীয়। আমরা দলীয় ভাবে খোঁজখবর করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও নিগৃহীতা প্রধান কল্পনাদেবীর অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকজন মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। মামলা না তুললে ফল ভাল হবে না বলে হুমকিও দিচ্ছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
কল্পনাদেবীর স্বামী বলাই বিশ্বাস সিপিএমের প্রাক্তন লোকাল কমিটির সদস্য। কল্পনাদেবীর অভিযোগ, “গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। বাড়ি ভাঙচুর করে আসবাবপত্র লুঠপাট করে। আতঙ্কে ১৪ মে রাতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাই।”
পঞ্চায়েতে ছুটির আবেদন করে মুর্শিদাবাদে ছেলের কাছে চলে গিয়েছিলেন কল্পনাদেবী। উপপ্রধান মনোরঞ্জন হেমরমই দায়িত্ব সামলাতেন পঞ্চায়েতের। দীর্ঘ দিন গ্রামছাড়া থাকার পরে গত ৩ অগস্ট কল্পনাদেবী বগড়িডিহি গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরেন। তবে তাঁর স্বামী এখনও ফেরেননি। কল্পনাদেবী বলেন, “আমি নিজেই ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। শুক্রবার তৃণমূলের মিছিলে যাওয়ার জন্য ফতোয়া জারি হলে আমি যোগ দিই। তা সত্ত্বেও আমাকে মারধর করল ওরা।” তাঁর অভিযোগ, “মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের কাছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরেন মাইতির নেতৃত্বে একদল তৃণমূলকর্মী হামলা চালায়। চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকে ওরা। আমি অচৈতন্য হয়ে পড়ি।” পরে পুলিশ গিয়ে কল্পনাদেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রামে ফিরলেও হুমকির ভয়ে বাপের বাড়িতে উঠেছেন কল্পনাদেবী। বিডিও বিক্রম চট্রোপাধ্যায় বলেন, “লিখিত ভাবে আমার কাছে অভিযোগ না এলেও হেনস্থা হওয়ার ঘটনা আমি শুনেছি।” গোয়ালতোড় থানার আইসি হিরণ্ময় হোড় বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
|
|
|
|
|