|
|
|
|
আজ বোর্ড মিটিং খড়্গপুরে |
কংগ্রেসের পাশে, ইঙ্গিত বিজেপি’র
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আজ, সোমবার কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বোর্ড মিটিং রয়েছে খড়্গপুর পুরসভায়। এই মিটিংয়ে কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। রেলশহরে কংগ্রেস ও তৃণমূল শিবিরের শক্তি কার্যত সমান- সমান হয়ে গিয়েছে, ১৫-১৫। এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট ও বিজেপি কী করে, তাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে জল্পনা উস্কে বিজেপি জানাচ্ছে, তৃণমূল পুরবোর্ড শহরের উন্নয়নে ব্যর্থ। অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হলে সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস শিবিরেরই ‘পাশে’ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি। বামফ্রন্ট অবশ্য জানিয়েছে, তাদের কাউন্সিলরেরা ভোটদানে বিরত থাকবেন।
তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ১৪ অগস্ট অনাস্থা এনেছে কংগ্রেস। এরফলে বোর্ডের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে শহর তৃণমূল নেতৃত্বও কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অনাস্থা ভোটে কংগ্রেস জিতলে বোর্ড হাতছাড়া হতে পারে ‘শাসক’ তৃণমূলের। খড়্গপুরে ৩৫ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। এরমধ্যে মধ্যে তৃণমূলের ১৫ জন। কংগ্রেসের ১৪ জন। বামফ্রন্টের ৪ জন। বাকি ১ জন নির্দল ও ১ জন বিজেপি’র কাউন্সিলর রয়েছেন। নির্দল কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মা কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন। অনাস্থা প্রস্তাবে সইও করেছেন। বামফ্রন্ট নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভোটাভুটি হলে দলীয় কাউন্সিলরেরা তাতে অংশ নেবেন না। এই সিদ্ধান্তের কথা দলীয় কাউন্সিলরদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “আমরা কংগ্রেস- তৃণমূল কোনও পক্ষই অবলম্বন করব না। ভোটাভুটি হলে ভোটদানে বিরত থাকব।”
শনিবার খড়্গপুরে বিজেপি’র এক বৈঠক হয়েছে। একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারীর উপস্থিতিতে ওই বৈঠক করেন দলের জেলা নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে নেতৃত্ব একমত হয়েছেন, গত দু’বছরে শহরের উন্নয়নের ‘হাল’ দেখে শহরবাসী ক্ষুদ্ধ। বিজেপি কী অনাস্থার পক্ষে? প্রশ্নের সদুত্তর এড়িয়ে দলের জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল পুরপ্রধানের নেতৃত্বে এই বোর্ড চলতে পারে না। শহরের মানুষ এই বোর্ডকে চাইছে না। শহরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে পুরবোর্ড ব্যর্থ হয়েছে।” দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে বিজেপি কাউন্সিলরও জানান,“ অর্থ এসে পড়ে থাকছে। অথচ, উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। মানুষের কাছে আমাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা কী জবাব দেব?” বোর্ড মিটিংয়ের মুখে বিজেপি নেতৃত্বের এই বক্তব্য কংগ্রেস শিবিরের ‘পাশে’ থাকারই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের এক জেলা স্তরের নেতাও জানাচ্ছেন,“ ভোটাভুটি হলে দলীয় কাউন্সিলর ভোটদানে অংশ নেবেন।”
আজ, বোর্ড মিটিংয়ে ঠিক কী হতে চলেছে, পারদ চড়ছে রেলশহরে। |
|
|
|
|
|