সময়মতো ট্রান্সফর্মার না পৌঁছনোয় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল গ্রামবসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের গৌরহাটিতে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে। ওই দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগে খানাকুলের ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতের বেনোজলা গ্রামের ট্রান্সফর্মার পুড়ে যায়। সেই ট্রান্সফর্মার বদলের দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। শুক্রবার দুপুরে গ্রামবাসীদের একাংশ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গৌরহাটি অফিস ঘেরাও করে। তাঁরা তখনই ট্রান্সফর্মারের দাবি জানান। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় সংস্থার তরফে জানানো হয়, লোকের অভাবে ট্রান্সফর্মার পৌঁছনো যাবে না। পরের দিন সকালে তা দেওয়া হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ধৈর্য্য রাখতে পারেননি। অভিযোগ, এর পরেই সেখানকার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুব বিশ্বাস এবং ঠিকাদার মুক্তরাম সামন্তকে তারা হেনস্থা করে। মুক্তরামবাবুকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। মুক্তরামবাবু বলেন, “বিক্ষোভকারীদের বলেছিলাম, শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে ট্রান্সফর্মার অবশ্যই পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু ওরা শুনল না।” বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরামবাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল জানান, শনিবার দুপুরে ওই গ্রামে ট্রান্সফর্মার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
মই ফেলে খেতের ধান নষ্ট করার অভিযোগ উঠল সেই জমিরই ‘পুরানো’ ভাগচাষি পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলের ঘোষপাড়ায়। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের কাছেই উপযুক্ত কাগজপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বিঘা ওই জমিটি সম্প্রতি কেনেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মানিক বটব্যাল। আগে ওই জমিতে ভাগচাষ করতেন গ্রামের হাবল মালিক, সজল মালিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, মানিকবাবু ভাগচাষিদের বাদ দিয়ে নিজেই চাষ শুরু করেন। এই নিয়ে গোলমাল বাধে। হাবলবাবুর অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করলে মালিক-পক্ষের লোকজন লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগও করেছেন ওই ভাগচাষি। তাঁর দাবি, “গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা ওখানে চাষ করছি। আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় রসিদও আছে। নতুন মালিক আমাদের উচ্ছেদ করতে চাইছেন। আমরা কি না খেতে পেয়ে মরব!” মানিকবাবুর বক্তব্য, “কোনও ভাগচাষি নেই জেনেই ওই জমি কিনেছি। নিজেই চাষ করছি।”
|
সিপিএমের এক দলীয় সদস্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় গোঘাটের গোস্বামীপাড়ার ঘটনা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সুদেব গোস্বামী নামে ওই সিপিএম সদস্য পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁকে লক্ষ করে বোতল ছোড়া হয়। আঘাত না লাগলেও তৃণমূলের লোকজন তাঁর বাড়ির যাবতীয় বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করায় তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সুদেববাবু বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ঘরছাড়া ছিলাম। দিন দশেক আগে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ফিরি। ফের ওরা আমাকে বাড়িছাড়া করতে চাইছে।” গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জল পালের দাবি, “পাড়াগত বিবাদের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। তাতে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। সিপিএম মিথ্যা গল্প ফেঁদেছে।”
|
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মেরে মৃত্যু হল মোটরবাইক আরোহী দুই বন্ধুর। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীতলার কাপাসহাড়িয়ার কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম রুবেন হেমব্রম (২২) এবং সন্টু মান্না (২২)। তাঁদের বাড়ি সিঙ্গুরের ডাকাতে কালীতলা এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি থেকে বাইকে চেপে বাড়িতে ফেরার সময় রাত ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।
|
হাওড়া থেকে দিঘা যাওয়ার পথে একটি যাত্রিবাহী বাস উল্টে যায়। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে সাঁকরাইলের ধুলাগড়িতে মুম্বই রোডে। পুলিশ জানিয়েছে বেলা ৩টে নাগাদ হাওড়া থেকে বাসটি রওনা দেয়। ধুলাগড়ি টোলপ্লাজা পার হয়ে কিছুটা আসার পরে এক সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বাসটি ডিভাইডারে উঠে পড়ে উল্টে যায়। বাসে ৫৫ জন যাত্রী ছিলেন। কারও তেমন চোট লাগেনি। চালক ও কন্ডাক্টর পালিয়ে যান।
|
চাঁদা তুলে পুড়শুড়ার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের হরিহর গ্রামের শ্মশানে চুল্লি বানালেন গ্রামবাসীরা। শনিবার তার উদ্বোধন করেন পুড়শুড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা কিঙ্কর মাইতি। শ্মশানে দূষণের অভিযোগ ছিল। |