বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। এখানে প্রাচীন মল্লরাজাদের নির্মিত বহু মন্দির আছে। মন্দির গাত্রে টেরাকোটার কাজ দেখলে বিস্ময়ে হতবাক হতে হয়। তা ছাড়া এখানে আছে দলমাদল কামান, রাসমঞ্চ, পাথরের রথ এবং মল্লরাজাদের উপাস্যদেবী মৃন্ময়ী মাতার মন্দির। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সৌজন্যে মন্দিরগুলি দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। কলকাতা থেকে এখানে আসার জন্য রেলপথ আছে। কিন্তু বর্ধমান, বীরভূম তথা উত্তরবঙ্গের পর্যটকরা বাঁকুড়া মশাগ্রাম (শীঘ্র চালু হবে) রেলপথে সরাসরি বিষ্ণুপুরে আসতে পারবেন না। তাঁদের বাঁকুড়া ঘুরে এখানে আসতে হবে। যদি বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেলপথের পাত্রসায়ের স্টেশনের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের (৪০ কিমি.) রেল সংযোগ করা যায় তবে ওই সব স্থানের পর্যটকরা সকালে এসে বিষ্ণুপুর পরিদর্শন করে বিকেলে ফিরে যেতে পারবে। অবশ্য রাতে থাকার জন্য এখানে ভাল ভাল লজ আছে। তা ছাড়া পর্যটকদের আগমনে বিষ্ণুপুরের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা আবাসনমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ তাঁরা যেন এ বিষয়টা একটু ভেবে দেখেন।
হরিদাস গাঙ্গুলি। বিষ্ণুপুর।
|
এই কলামে প্রকাশিত সিন্দুল ঘোষের চিঠির জবাবেই এই চিঠি। বর্তমানে একজন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন ৭৪২৫ টাকা। এবং তাঁরা চুক্তিভুক্ত শিক্ষক। তাঁদের বেতন বাড়লেও কাজ করার ইচ্ছে নেই। সপ্তাহে চার দিন চারটে করে ক্লাস (১৬), বাকি দু’দিন তাঁদের পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের বাড়ি থেকে বিদ্যালয়মুখী করা কাজ। সে কাজ তাঁরা করেন না। ওই দু’দিন স্কুলে ওঁরা কোনও কাজ করেন না। তা হলে তাঁরা একই কাজ কী ভাবে করেন। ৭ দিন সি এল, সপ্তাহে দু’দিন আরও বাদ। ৫২ সপ্তাহে ৫২×২=১০৪ দিন ছুটি। এর পরেও আছে গরমের ছুটি। পুজোর ছুটি এবং অন্য ছুটির দিনগুলি। সমান কাজ বলতে এরা ছুটিভোগ করেন সমান বা তার বেশি। মর্যাদা পান শিক্ষকের। কিন্তু শিক্ষকসুলভ আচরণ এঁদের মধ্যে দেখা পাওয়া ভার। এস এস সি-র মর্যাদা চান, আর এস এস সি দিয়ে আসবেন না! এঁদেরও এস এস সি-র মতো কোয়ালিফাই করে কোনও পরীক্ষার মাধ্যমে নেওয়া হোক। এঁরা যখন যোগদান করেছিলেন বেশির ভাগই ছিলেন দল নির্ধারিত প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রী মহদয়া এঁদের জন্য এস এস সি-তে নম্বর নির্ধারিত করেছেন।
সবুজবরণ সরকার। পাইকপাড়া, বীরভূম।
|
পার্শ্বশিক্ষকেরা ২০০৪ সাল থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলিতে নিয়োজিত আছেন। পার্শ্ব শিক্ষকেরা একই বিদ্যালয়ে একই যোগ্যতায় একই কাজ করা সত্ত্বেও সামাজিক সম্মান ও আর্থিক দিক থেকে অবহেলিত ও দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। স্থায়ী শিক্ষকদের বছরে দু’বার ডি এ ও একবার ইনক্রিমেন্ট হয়। কিন্তু পার্শ্ব শিক্ষকদের এইরূপ বেতন বৃদ্ধির কোনও সুযোগ নেই। ফলে পার্শ্ব শিক্ষকদের দীর্ঘদিন যাবৎ কোনও বেতন বৃদ্ধি হয়নি। কিন্তু বাজারমূল্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে পার্শ্ব শিক্ষকদের পরিবারগুলো দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি পার্শ্ব শিক্ষকদের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। সুতরাং পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন কাঠামো চালু করে তাঁদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা দূর করা হোক।
সিন্থল ঘোষ। ২নং চক্র, রানাঘাট।
|
“পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্বশিক্ষকরা দীর্ঘদিন বঞ্চনার শিকার”কথাটির পুনরাবৃত্তি শুনতে শুনতে কান পেকে গেল। আনন্দবাজার পত্রিকায় এই বিষয়ে লেখা ৫-৬ বার প্রকাশিত হয়েছে। মাননীয় পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকাগণের জানা উচিত একই যোগ্যতা থাকলেও সকলেই সমান সম্মান ও আর্থিক সুবিধা পায় না। তাই এম এড অথবা পি এইচ ডি ডিগ্রিধারী অনেকেই আছেন যাঁরা কার্যত বেকার, কিন্তু তাঁদের কলেজে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয় না। কারণটা আমার আপনার সকলেরই জানা। আমরা, যারা ২-৩ বছর বা আরও বেশি সময়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে এসএসসি নামক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, যা শিক্ষক নিয়োগের মাপকাঠি হিসাবে গণ্য, সেখানে আপনারা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি কর্তৃকপৃথিবীর আকৃতি কেমন? ‘চোখের বালি’ কার লেখা? বাপিদা কেমন আছেন? (বাপিদা হয়তো আপনাদের বাবা, কাকা বা মামা) ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। আপনারা কি এই দুটো পদ্ধতিকে একই বলে মনে করেন? যদি সত্যি সত্যিই আপনাদের যোগ্যতার অহঙ্কার থাকে আর সম্মানের লোভ থাকে তা হলে তবে ভাঙা ঢোলের মতো না চেঁচিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসুন না। দরজা তো খোলাই আছে।
সবুজাক্ষ দাস (শিক্ষক)। ছাতনা, বাঁকুড়া। |
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১ |
|