মার্কিন জনসাধারণের অবশ্য মনে আছে, ওবামার পূর্বসূরি জর্জ বুশকেও যেতে হয়েছিল এই রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। তাঁর অনিদ্রার কারণ ঘটিয়েছিল ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মাইকেল মুরের বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘ফারেনহাইট ৯/১১’। বরাবরের প্রতিষ্ঠানবিরোধী চলচ্চিত্রকার মুর ৯/১১ এবং ইরাক নিয়ে বুশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলের বহু সদস্য এখনও বিশ্বাস করেন, খুব একটা পরিচ্ছন্ন উপায়ে তাঁদের প্রার্থী আল গোরেকে হারাননি বুশ। মুরের তথ্যচিত্রে উঠে এসেছিল সেই বিষয়টিও। আর ‘২০১৬: ওবামা’স আমেরিকা’ তথ্যচিত্রটিতেও গত চার বছরে ওবামার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলিকে খুব একটা ভাল চোখে দেখা হয়নি। অনেক সমালোচকের মতে ‘২০১৬ ওবামা’স আমেরিকা’ তথ্যচিত্রটি ‘ফারেনহাইট ৯/১১’-এর জবাব।
ফলে এই দু’টি তথ্যচিত্র দুই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদশের্র দুই প্রেসিডেন্টকেও যেন মিলিয়ে দিয়েছে।
তবে ওবামাকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে অতীতই। মুরের ছবি শেষ পর্যন্ত বুশের পুনর্নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। তা ছাড়া দীনেশের ছবি সম্পর্কে সমালোচকদের মতামতও উদার নয়। প্রথম সারির মার্কিন সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ ‘২০১৬: ওবামা’স আমেরিকা’-র তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়েছে, তথ্যচিত্রটি একপেশে। আর ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ বলেছে, ছবিটিতে ওবামা-বিরোধীদের দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ওবামা-সমর্থকের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এটা তথ্যচিত্রের নিয়ম নয়। |