বিনোদন ওবামা-বিরোধী তথ্যচিত্রে
তোলপাড় বক্স অফিস
তিনি ‘সর্বশক্তিমান’ মুলুকের ‘সর্বাধিনায়ক’। সেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে কি না একটি তথ্যচিত্র! যার পিছনে রয়েছে এক ভারতীয়ের মস্তিষ্ক।
বারাক ওবামার সময়টা এমনিতেই বিশেষ ভাল যাচ্ছে না। জনমোহিনী প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। মানুষ ভেবেছিল, ওবামার হাত ধরেই ঘরে-বাইরে ঘুরে দাঁড়াবে আমেরিকা। কিন্তু ওবামার মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে চলে এল, জাদুকরী ‘পরিবর্তন’ কিন্তু আসেনি। বেকার সমস্যা মেটেনি, আর্থিক হাল ফেরেনি। আফগানিস্তান থেকে সেনা তুলে নেওয়ার ঘোষণা সত্ত্বেও আফগান সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে প্রেসিডেন্ট
দীনেশ ডি’সুজা
নির্বাচনের বছরে নিজের দেশেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট দলের এই প্রার্থী। এই অবস্থায় গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে তথ্যচিত্র ‘২০১৬: ওবামা’স আমেরিকা।’ ইতিমধ্যেই ‘ওবামা-বিরোধী’ এই ছবিটি ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। ছবিটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার ভূমিকাকে কড়া সমালোচনার মধ্যে দিয়ে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে।
২৩ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘২০১৬ ওবামা’স আমেরিকা’ ইতিমধ্যেই ২২ লক্ষ ডলার ব্যবসা করেছে। এই লক্ষ্মীলাভ ছবিটিকে বছরের সেরা বাণিজ্যসফল তথ্যচিত্রের মর্যাদাও এনে দিয়েছে।
ছবিটি নির্মিত হয়েছে ভারতীয়-মার্কিন লেখক দীনেশ ডি’সুজার বই ‘দি রুটস অফ ওবামা’স রেজ’ অবলম্বনে। ২০০৮ সালে প্রকাশিত এই বইটিও বেশ জনপ্রিয়। সে বছর বইটি সর্বাধিক বিক্রি হয়েছিল। ‘২০১৬: ওবামা’স আমেরিকা’ তথ্যচিত্রটির সহ-পরিচালকও দীনেশই। ছবিটি প্রযোজনা করেছে যে সংস্থা তারা শিন্ডলার্স লিস্ট ছবির প্রযোজক হিসেবে খ্যাত।
মার্কিন জনসাধারণের অবশ্য মনে আছে, ওবামার পূর্বসূরি জর্জ বুশকেও যেতে হয়েছিল এই রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। তাঁর অনিদ্রার কারণ ঘটিয়েছিল ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মাইকেল মুরের বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘ফারেনহাইট ৯/১১’। বরাবরের প্রতিষ্ঠানবিরোধী চলচ্চিত্রকার মুর ৯/১১ এবং ইরাক নিয়ে বুশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলের বহু সদস্য এখনও বিশ্বাস করেন, খুব একটা পরিচ্ছন্ন উপায়ে তাঁদের প্রার্থী আল গোরেকে হারাননি বুশ। মুরের তথ্যচিত্রে উঠে এসেছিল সেই বিষয়টিও। আর ‘২০১৬: ওবামা’স আমেরিকা’ তথ্যচিত্রটিতেও গত চার বছরে ওবামার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলিকে খুব একটা ভাল চোখে দেখা হয়নি। অনেক সমালোচকের মতে ‘২০১৬ ওবামা’স আমেরিকা’ তথ্যচিত্রটি ‘ফারেনহাইট ৯/১১’-এর জবাব।
ফলে এই দু’টি তথ্যচিত্র দুই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদশের্র দুই প্রেসিডেন্টকেও যেন মিলিয়ে দিয়েছে।
তবে ওবামাকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে অতীতই। মুরের ছবি শেষ পর্যন্ত বুশের পুনর্নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। তা ছাড়া দীনেশের ছবি সম্পর্কে সমালোচকদের মতামতও উদার নয়। প্রথম সারির মার্কিন সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ ‘২০১৬: ওবামা’স আমেরিকা’-র তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়েছে, তথ্যচিত্রটি একপেশে। আর ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ বলেছে, ছবিটিতে ওবামা-বিরোধীদের দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ওবামা-সমর্থকের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এটা তথ্যচিত্রের নিয়ম নয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.