জামালপুরের সাদিপুর কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। ওই সমবায়ের ৫৯টি আসনের মধ্যে ৪১টিতে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় তৃণমূল আগেই জিতে গিয়েছিল। বাকি ১৮ আসনে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী আলাদা ভাবে এবং সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল। সমবায় সূত্রে জানা যায়, রবিবার এই সব আসনের জন্য ভোট হয়। ১৪টিতে তৃণমূল ও ৪টিতে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে যে ৪১টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন দলের ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান ও বাকি ১৩ জন স্থানীয় বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিকের অনুগামী। এ দিন যে সব তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, তাঁরা সকলেই তাঁর অনুগামী বলে দাবি মেহমুদ খানের। তাঁর বক্তব্য, “বিধায়ক এলাকায় আসেন না। মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনেন না। তাই মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। এই সমবায়ে আমরাই বোর্ড গড়তে চলেছি।” সমবায়ে তাঁর অনুগামীরাই বোর্ড গড়বেন বলে দাবি করেছেন উজ্জলবাবুও। এ দিন প্রথমে তিনি দাবি করেন, “ওখানে গোলমাল হয়েছে। বহু চেষ্টা করেও আমাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলের একাংশের কিছু লোকজনের দাঁড়িয়ে পড়া আটকানো যায়নি।” পরে অবশ্য তাঁর দাবি, “আমরা আগে ২৬টি আসনে ওয়াকওভার পেয়েছি। এ দিন তিনটি আসনে জিতেছি। তাই ওখানে আমরাই বোর্ড গড়ব।” মেহেমুদের পাল্টা বক্তব্য, “মুখ বাঁচাতে বিধায়ক ভোটের হিসেব উল্টে দিচ্ছেন। ওই সমবায়ে আমরাই জিতেছি। বোর্ড গঠনের দিন তা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন বিধায়ক।”
|
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে অরবিন্দকুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, বিহারের ছাপরার মানে গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ বর্ধমানের বিধানপল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। নানা সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে সে প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জেনেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্ধমানের উল্লাস উপনগরীতে ওই ব্যক্তি শিক্ষা সংক্রান্ত নানা বিষয়ের পরামর্শদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছিল। সেখানে নানা ধরনের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত সে। শেষ পর্যন্ত আরজাউল হক নামে এক যুবক তার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি নিজেকে উত্তরপ্রদেশের চান্ডুলি জেলার তৃণমূল সভাপতি পরিচয়ে প্যাড ছাপিয়েছিল। কিছু দিন আগে রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে ধরাও পড়ে। শনিবার বিধানপল্লিতে ওই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশ। রবিবার সিজেএম আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক ভাস্কর মজুমদার তাকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
|
সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল। কালনা ২ ব্লকে বৈদ্যপুর পাতিলপাড়া সিএডিসিএফএসিএস সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচনে রবিবার ৩৪টা আসনের মধ্যে ৩১টিই দখল করে তারা। সিপিএম পায় ৩টি আসন। দুই দলই সবক’টি আসনে প্রার্থী দেয়। বৈদ্যপুর, অকালপৌষ, বড় ধামাস- এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার ১১ হাজার সদস্য সমবায় সমিতির নির্বাচনে যোগ দেন। পরাজিত হন সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সম্পাদক করুণা ভট্টাচার্যও। কালনা ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রণব রায়ের দাবি, “২২৫-য়েরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন করুণাবাবু। এই নির্বাচন প্রমাণ করল চাষিরা সিপিএমের সঙ্গে নেই।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবু টুডুর কথায়, “এত ব্যবধানে দলের জয় এই প্রথম।” সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটি সূত্রে জানানো হয়, হারের কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
|
নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির বর্ধমান জেলা সপ্তম ত্রৈবার্ষিক সম্মেলন হল রবিবার। এ দিন কালনা পুরসভার পুরশ্রী মঞ্চে এই উপলক্ষে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়। হাজির ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টার্চায, লেখক আজিজুল হক-সহ বিশিষ্ট মানুষজন। বিকাশবাবু এ দিন দাবি করেন, “শিক্ষা জগতে অন্ধকার নেমে আসছে। প্রতিদিন বেকার যুবকেরা প্রতারিত হচ্ছেন।” তাঁর কথায়, “এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।”
|
প্রায় আড়াই বছর দায়িত্বে থাকার পরে বদলি হতে চলেছেন কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বদলির নির্দেশিকা চলে এসেছে। তাঁর জায়গায় আসছেন আর বিমলা। তিনি এত দিন বীরভূমে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট শিক্ষানবিশের পদে ছিলেন। |