|
|
|
|
কয়লা পাচার নিয়ে চাপানউতোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
কয়লা পাচারকে কেন্দ্র করে জামুড়িয়ার মদনতোড়ে দ্বন্দ্বে জড়াল তৃণমূলের স্থানীয় দু’টি গোষ্ঠী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে সত্তর ও প্রেমবাজারের মাঝামাঝি এলাকায় ‘ন্যাচারাল কোল’ নিয়ে যাওয়া তিনটি ভ্যান আটকান এলাকার কিছু লোকজন। তা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাজল মাঝি জানান, দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে পঞ্চায়েত নতুন করে রাস্তা তৈরি করেছে। পাশেই একটি উচ্চ বিদ্যালয় আছে। তাঁর দাবি, প্রেমবাজার এলাকায় কয়লা পাচারে যুক্ত কিছু লোকজন ভারী গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে এলাকার বাসিন্দারা সেগুলি আটকে রাস্তা ভেঙে গেলে সারিয়ে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি চায়। এ নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। এ দিন ফের সে ভাবে গাড়ি পেরোতে গেলে গ্রামবাসীরা আটকান। কাজলবাবুর অভিযোগ, “সহিদুল সেখ ফরিয়াদদের নেতৃত্বে এক দল লোক এসে বাসিন্দাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাড়াতাড়ি পুলিশ এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।” তাঁর আরও দাবি, “সিপিএম আশ্রিত সহিদুলই কয়লা পাচারে মদত দেয়। আমরা এ দিনের ঘটনা জামুড়িয়া থানায় লিখিত ভাবে জানিয়েছি।”
নিজেকে এলাকার তৃণমূলুব সভাপতি দাবি করে সহিদুলের পাল্টা অভিযোগ, “এলাকার কিছু গরিব মানুষ পরিত্যক্ত পাথর ও কয়লা নিয়ে আসে। কাজল মাঝিদের লোকজন তাদের থেকে গাড়ি প্রতি তিনশো টাকা করে দাবি করছে। আমরা টাকা নেওয়া যাবে না এবং কয়লা পাচারও বন্ধ করতে হবে, এই দাবিতে গাড়ি আটকাতে যাই। তখনই ওরাই হামলা চালায়।” এ ব্যাপারে গ্রামবাসীরা গণসাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র জামুড়িয়া থানায় জমা দিয়েছে বলে তাঁর দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জয়নগর থেকে পরিত্যক্ত ঝামা ভ্যানে করে এনে জমা করা হয় শিবপুর ও ঝিলাডাঙায়। সেখানে সব গুঁড়ো করার পরে অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছে দুর্গাপুরে। পুলিশ সব জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, বেসরকারি সংস্থার ফেলে দেওয়া কালো পাথর নিয়ে যাচ্ছে এলাকার লোকজন। এ দিন রাস্তা মেরামতি নিয়ে ঝামেলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়েছে। |
|
|
|
|
|