গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা করা হল এক গৃহবধূকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মন্তেশ্বরের কাইগ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই বধূর নাম কল্পনা চক্রবর্তী। কী কারণে এই খুনের চেষ্টা এখনও পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “অসুস্থ ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পাশাপাশি তার পরিবারের তরফেও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।” ওই আধিকারিক জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা জানতে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হবে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কল্পনাদেবীর স্বামী অভয়পদ চক্রবর্তী ও ছেলে সুদীপ চক্রবর্তী কলকাতার বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে নিয়ে একাই বাড়িতে থাকতেন কল্পনাদেবী। শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেওরের বাড়িতে গিয়ে সাহায্য চান। সে সময়ে তাঁর মেয়ে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। এর পরেই তাঁকে প্রথমে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাঁচিল টপকে দেওরের বাড়িতে পৌঁছন তিনি। দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে দরজায় শিকল দিয়ে গিয়েছিল। তবে, ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ঠিকঠাক থাকায় পুলিশের অনুমান ঘটনাটি সাধারণ চুরি-ডাকাতির নয়। |