চালকল মালিকেরা তাঁদের দাবি-দাওয়া মানছেন না, এমনই অভিযোগ তুলল সিটু অনুমোদিত ‘বর্ধমান জেলা রাইসমিল ওয়ার্কাস ইউনিয়ন’। নিজেদের দাবির কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনপত্রও পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি তড়িৎ ঘোষ। |
তড়িৎবাবুর অভিযোগ, “জেলার ৪৩০টি চালকলে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু সরকার ঘোষিত ন্যূনতম ১৭১ টাকা মজুরি পাচ্ছেন না তাঁরা। ৭২ থেকে ১০০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। প্রভিডেন্ড ফান্ড, ইএসআই ইত্যাদির সুবিদাও পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ৩৮টি চালকলে ধান সিদ্ধ করার চাতাল তুলে দিয়ে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। এই কাজে নিযুক্ত ছিলেন মহিলা শ্রমিকেরা। তাঁদের ২০ শতাংশ চাকরি হারিয়েছেন।” ইউনিয়নের সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন দাবি ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে শ্রম দফতরে ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মালিকেরা আসছেন না। ফলে বৈঠক বাতিল হয়ে যাচ্ছে। মালিকেরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে, চালকলগুলিকে সরকারি নিয়ম মেনে শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি দিতে বলা হচ্ছে। আদতে কিন্তু তা হচ্ছে না।”
জেলা চালকল মালিক সমিতির সম্পাদক দেবনাথ মণ্ডল বলেন, “সিটুর অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা নগদ টাকা ও নানা জিনিসপত্র দিয়ে মজুরি দিয়ে আসছি। গত ৩৪ বছর সিটু তা মেনে এলেও আচমকা অন্য কথা কেন বলছে, জানি না।” |