স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার অশ্লীল ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফেরার যুবককে গ্রেফতার করার ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যা কেয়া চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেয়া দেবী উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানায় গিয়ে আইসির কাছে অবিলম্বে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করার ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, করণদিঘি এলাকায় মহিলা ও স্কুল ছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারেও পুলিশকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। ওই স্কুল ছাত্রীকে সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার সকালে কেয়া দেবী রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। ওই প্রস্তাবে সরকারি উদ্যোগে ওই স্কুল ছাত্রীর পড়াশুনার ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছে। করণদিঘি থানার আইসি সুকুমার মিশ্র বলেন, “ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার অশ্লীল ছবি মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই অভিযুক্ত যুবকের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। অপর অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। আশা করছি, শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। করণদিঘি এলাকার বিভিন্ন স্কুলের সামনে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।” করণদিঘির পারগাঁও এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রীকে গত ৩ জুলাই স্থানীয় দুই যুবক ফুঁসলিয়ে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর অভিযুক্তরা তার ছবি মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই স্কুল ছাত্রী। ১২ জুলাই অভিযুক্ত দুই যুবকের বিরুদ্ধে করণদিঘি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। গত ২৫ জুলাই নদীয়ার চাকদহ থেকে জ্যোতির্ময় বিশ্বাস নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অপর অভিযুক্ত এখনও পলাতক। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবিতে ২৬ জুলাই এসইউসির জেলা কমিটির সদস্য তথা ডালখোলা অগ্রসেন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক মানস জানার নেতৃত্বে করণদিঘি বিডিও অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। সামাজিক অপরাধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অবরোধ থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ মানসবাবুকে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে মানসবাবু আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন। কেয়া দেবী বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় ফেরার অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা দরকার। পুলিশকে সে কথা বলেছি।” |