দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দলীয় কাউন্সিলরকে মদত দেওয়ার অভিযোগে তুফানগঞ্জ পুরসভার সিপিএম চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামল তৃণমূল। শুক্রবার দুপুরে ওই দাবিতে তৃণমূল সমর্থকরা পুর ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পুরকর্তাদের স্মারকলিপি দিয়ে পথসভাও করেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, চেয়ারম্যান দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এক দলীয় কাউন্সিলরের পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে সভা করছেন। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ ভাওয়াল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই মদতের অভিযোগ কেন উঠছে বুঝতে পারছি না।” তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, সম্প্রতি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলর তথা ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির সভাপতি কাকলী দে বর্মার বিরুদ্ধে টেন্ডার না ডেকে ইলাদেবী প্রাথমিক স্কুলের পুরানো মিড ডে মিলের ঘর বিক্রি করা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কাকলী দেবীকে গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। ওই ঘটনা নিয়ে সিপিএমের পথসভায় পুরসভা চেয়ারম্যান অভিযুক্তের পাশে দাঁড়ান। এমনকী, নিয়ম মেনে ঘর বিক্রি হয়েছে বলেও দাবি করেন। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ শহর সভাপতি হিরন্ময় চট্টোপাধায় বলেন, “ওই কাউন্সিলরের পাশে দাঁড়িয়ে চেয়ারম্যান দুর্নীতিকে প্রশয় দিয়েছেন। পথসভা করে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছি। এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে লাগাতর আন্দোলন শুরু হবে।” তৃণমূল কর্মীরা এ দিন অভিযুক্ত কাউন্সিলার কাকলীদেবীর অপসারণের দাবিও জানান। দলের তুফানগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি বলেন, “আদালতের বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই কাউন্সিলরকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে।” পুরসভার সিপিএম চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে ওই ঘর ভাঙা হয়েছে। পথসভায় সেটাই বলেছি। কাকলীদেবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনও প্রমাণ হয়নি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই ওঁকে মদত দেওয়ার অভিযোগ মানা যায় না।” তিনি জানান, তৃণমূল দাবি করলেও পদত্যাগের প্রশ্নই নেই। মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর কাকলী দেবীর বক্তব্য জানা যায়নি। |