হেল্পলাইন পুলিশের
নিয়ম ভাঙছে সিটি অটো
টোর রুট ছিল গেটবাজার হয়ে এনজেপি। হঠাৎই মাঝ রাস্তায় রুট বদলে দেশবন্ধুপাড়া হয়ে এনজেপি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন চালক। গেটবাজারের যাত্রী সৌমিত্র অধিকারীকে উড়ালপুল পার করে নামিয়ে দেওয়া হল। প্রতিবাদ করেও চালককে নির্দিষ্ট পথে নিয়ে যেতে পারলেন না তিনি। ওই গাড়িতেই শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের ‘স্টিকার’ সাঁটানো ছিল। তা থেকে হেল্পলাইন লাইন নম্বর টুকে নিয়ে সৌমিত্রবাবু ফোন করেন ট্রাফিক কন্ট্রোলে। ওই গাড়ির নম্বর টুকে অভিযোগ জানান তিনি। নম্বর দেখে গাড়ি আটকে মামলা করে ট্রাফিক। বাগডোগরা যাবেন বলে ভেনাস মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন মৌমিতা নন্দী মিত্র। বাগডোগরার একটি অটো পেয়ে উঠতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অটো বাগডোগরা পর্যন্ত যাবে না জানিয়ে চালক তাঁকে উঠতে বারণ করেন। তিনি ফোন করেন হেল্পলাইন নম্বরে। অটোটিকে আটক করে ব্যবস্থা ট্রাফিক পুলিশ।
শুধু এই দুটি নয়, গত দুই সপ্তাহে হেল্পলাইনে নম্বরে ৬০টি অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হেমন্ত দাস বলেন, “সিটি অটো নানা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কিন্তু সবসময় যাত্রীরা অভিযোগ করতে ট্রাফিক গার্ডে যেতে পারে না। সেদিক থেকে ভেবে হেল্পলাইন নম্বর লাগানো ওই স্টিকার সাঁটানো হয়েছে। অনেকেই ফোন করছে। আমরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিযোগকারীকেও আমরা কি ব্যবস্থা নিলাম তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যাত্রীরা সঠিক পরিষেবা পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।” সিটি অটো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা অভিযোগ করে আসছেন। এনজেপি, বাগডোগরা, সুকনা এবং শালুগাড়ার অটোগুলির একাংশ গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে না। বাগডোগরার রুটে চলাচল করা কিছু অটো দার্জিলিং মোড় থেকে ঘুরে চলে আসছে। এনজেপির অটোগুলির একাংশ গেটবাজার রুট দিয়ে যাতায়াতের অনুমতি থাকলেও তারা দেশবন্ধুপাড়া হয়ে যাতায়াত করছে। এমনকী বেশ কিছু গাড়িতে চালাকি করে রুট লেখা হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, একটি বাগডোগরার যাতায়াতকারী অটো সামনের কাঁচে কোর্ট মোড় থেকে দার্জিলিং মোড় লিখে রাখছে। বাঁ পাশেই একই লেখা থাকছে। পিছনের অংশে দার্জিলিং মোড় থেকে বাগডোগরা লিখে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রীদের চোখে অটোর পিছনের লেখার অংশ পড়ার আগেই সেটি বেরিয়ে যায়। এ ছাড়াও অনেক সময় এনজেপি রুটের কিছু অটো যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ। ওই সিটি অটো চালকদের একাংশের বক্তব্য, অনেক সময় যাত্রী না পাওয়ার কারণে তারা রুট মেনে চলাচল করতে পারে না। তাতে লোকসান পড়তে হয়।
শিলিগুড়ি সিটি অটো অপারেটার্স ওয়োলফেয়ার সোসাইটি পক্ষে দাবি করা হয়েছে, হেল্পলাইনের সুযোগ নিয়ে অনেকে মিথ্যে অভিযোগ করছেন। সে রকম তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, “যদি কোনও অটো চালক আইন বিরোধী কাজ করে তার শাস্তি আমরাও চাই। সে জন্য হেল্পলাইন চালুর ব্যপারে আমরা সহযোগিতা করেছি ট্রাফিক পুলিশকে। কিন্তু এখন অনেকেই ওই হেল্পলাইনের সুযোগ নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করছে। যারা অভিযোগ করছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশকে সত্যতা যাচাই করতে হবে। এটা আমাদের দাবি।” পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নিরপরাধী কোনও চালক যদি শাস্তি না পায় সেটা দেখা হচ্ছে। আর কেউ মিথ্যে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.