দক্ষিণ দিনাজপুরের সুসুন্দরে একটি পুকুরের ধারে শনিবার সকালে এক চালকল শ্রমিকের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাম মকিম হক (৪০)। বাড়ি এলাকারই হাপুনিয়া গ্রামে।
আর আশ্চর্যের ব্যাপার, ওই শ্রমিককে সিপিএম-তৃণমূল দু’দলই নিজেদের দলীয় সমর্থক বলে দাবি করে রাজনীতি শুরু করেছে।
গঙ্গারামপুর থানার আইসি সত্যব্রত বাগচী বলেন, “ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে এই ঘটনায় কারও নামে অভিযোগ হয়নি।”
এলাকার হাস্কিং মিলের শ্রমিক মকিম সিপিএমকর্মী বলে দাবি করেছেন গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, “২০০৯-এ হাপুনিয়ায় তৃণমূলের হামলায় দলীয় কর্মী আনসার আলি খুন হন। সেই খুনের মামলায় মকিম ছিলেন একমাত্র সাক্ষী। সে জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাকে খুন করেছে বলে আমাদের সন্দেহ।” পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও নারায়ণবাবুর অভিযোগ। পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ অবশ্য বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই ধরা পড়বে খুনের সঙ্গে জড়িতরা।”
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি তৃণমূলের মজিরুদ্দিন আহমেদ নিহত মকিম হককে তাঁদের দলের সমর্থক বলে পাল্টা দাবি করেছেন। মজিরুদ্দিনের বক্তব্য, “আগে সিপিএম করলেও এখন ওই ব্যক্তি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মী ছিলেন। তাকে খুনের সঙ্গে সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা জড়িত।” কেন? তাঁর কোনও স্পষ্ট জবাব অবশ্য মজিরুদ্দিনের কাছে মেলেনি। তিনি বলেন, “হাপুনিয়ায় পুকুর দখল নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক ব্যক্তি মারা যান। ওই ঘটনায় মকিম ছিল অন্যতম অভিযুক্ত। সাক্ষী ছিলেন না। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নারায়ণ মজুমদার অবশ্য বলেন, ওই এলাকায় পুরনো একটি দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় নিহত ব্যক্তি অভিযুক্ত ছিলেন।” |