এ ভাবেই পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে চেয়ারটেবিল ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
ফল প্রকাশের দাবিতে বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালাল এক দল ছাত্রছাত্রী। শনিবার ভূগোল অনার্সের তৃতীয় বর্ষের প্রায় সাড়ে তিনশো ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এর পর অবস্থান বিক্ষোভও করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলি থেকে প্রায় ৮৫০ ছাত্রছাত্রী ভূগোল অনার্সের পরীক্ষা দেয়। কিন্তু এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানায়, ভূগোলের সপ্তমপত্রের ব্যবহারিক পরীক্ষা ফের নিতে হবে। সেই নির্দেশ মতো শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রটি যে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছিল, সেই একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া ৩৫০ জনের নাম বাদ দিয়ে বাকিদের ফল প্রকাশ করে দেয়। |
তার প্রতিবাদেই এ দিন কলেজে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। বেলা ২টো নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ঢুকে চেয়ারটেবিল ভাঙচুর করেন তাঁরা। অফিস ঘরের কম্পিউটার, প্রিন্টারও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ থামানোর নামে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। এতদিন পরে হঠাৎ আবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কবে সেই পরীক্ষা হবে, কবে ফলপ্রকাশ হবে তা-ও কিছু জানানো হয়নি। তবে এ দিন কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বাদে কলেজে শিক্ষকেরা ছিলেন না। উপাচার্য কৌশিক গুপ্ত বলেন, “কারা কী ভাঙচুর করেছে, সোমবার তদন্ত করে দেখা হবে। হাইকোর্টের নির্দেশেই ফের পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। দ্রুত সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই ছাত্রছাত্রীদের যাতে সমস্যা না হয়, তা-ও দেখা হবে। তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও আবেদন জানাব।” |