টোলগে ওজবে দশ নম্বর সবুজ-মেরুণ জার্সি পরে নিয়েছিলেন আগেই। এ বার হাতে তুলে নিলেন মোহনবাগান পতাকাও। নিজের ড্রইংরুমে টাঙিয়ে রাখার জন্য।
আজ রবিবার সকালেই দুর্গাপুরে আবাসিক শিবির শুরু হচ্ছে মোহনবাগানের। গত মরসুমের মতো এ দিনও তাই ক্লাব তাঁবুতে প্রত্যেক ফুটবলারের হাতে একটি করে ক্লাবের পতাকা তুলে দিলেন সচিব অঞ্জন মিত্র। বাদ গেলেন না কোচেরাও। অঞ্জনবাবু বললেন, “সবুজ-মেরুন পতাকা ওদের উদ্বুদ্ধ করবে ভাল খেলার জন্য। প্রত্যেককে সেটা বাড়িতে টাঙিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমোনোর আগে সব সময় দলের কথা ঘোরে ওদের মাথায়।”
এ দিকে, সরকারিভাবে এখনও সিলমোহর না পরলেও মোহনবাগান জার্সিতে গোল করেই চলেছেন টোলগে। শনিবার ফের অনুশীলন ম্যাচে জোড়া গোল করলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন, মাঠের বাইরের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তাঁর খেলার ওপর কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বরং মনে হচ্ছে, সেই বিতর্ক অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের গোলের খিদে আরও বাড়িয়ে তুলেছে!
শনিবার মোহনবাগান মাঠে এক স্বদেশি ফুটবলারের মধ্যেও টোলগের মতো সেই গোলের খিদে খুঁজে পাওয়া গেল। বয়স যে তাঁর ফুটবলকে গ্রাস করতে পারেনি, তা মোহনবাগান অনুশীলনে বোঝাচ্ছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। হতে পারে অনুশীলন ম্যাচ। তাতে কী? টোলগের মতো শুধু জোড়া গোল করলেন না, একটি করালেনও। স্বয়ং মোহনবাগান কোচ সন্তোষ কাশ্যাপ দীপেন্দুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বললেন, “বয়স আমার কাছে কোনও ব্যাপার নয়। অভিজ্ঞতা আমার কাছে অনেক মূল্যবান। দীপেন্দু দলের খুব দামি ফুটবলার। শুরু থেকেই ওকে প্রথম দলে রাখার চেষ্টা করব। এত দিন ধরে খেলছে। গোলটা খুব ভাল চেনে।”
মাত্র তিন দিনের মধ্যেই নবি-দীপেন্দুরা মন জয় করে নিলেন মোহনবাগানের নতুন কোচের। এ দিন অনুশীলনের পরে সন্তোষ বলছিলেন, “দারুণ দল হয়েছে এ বার। প্রত্যেকের মধ্যে একটা বাড়তি তাগিদ দেখতে পাচ্ছি। ফিটনেসের দিক থেকেও খুব ভাল জায়গায় আছে ফুটবলাররা। মনে হয় খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না।” দুর্গাপুরের শিবিরে অবশ্য ফিটনেসের দিকেই বেশি নজর দিতে চাইছেন সন্তোষ। ১৩ দিনের এই শিবিরে থাকছেন না ওডাফা ওকোলি। তবে পরের দিকে বাগানের বাকি দুই বিদেশি স্ট্যানলি এবং ইচেকে পেয়ে যাবেন মোহন কোচ। |