পণ-আদায়ের জন্য ‘তীব্র অত্যাচারের’ আরও একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল কর্নাটকের উদুপি। অভিযোগ, দাবি মতো পণ না পেয়ে স্বামীর প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করা হয়েছে এক মহিলাকে। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগও জানান তিনি। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, শান্তিনিকেতনে এক ছাত্রীকে বিছানা ভিজিয়ে ফেলার শাস্তিস্বরূপ নিজের প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করেন হস্টেলের ওয়ার্ডেন। এই ঘটনার নিন্দায় যখন সারা দেশ মুখর, তখনই প্রকাশ্যে এল কর্নাটকের এই ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, স্বপ্নার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামী আকাশকে।
পুলিশি সূত্রে খবর, ২০১১ সালে দাভেনাগেরের বাসিন্দা ২৭ বছরের পূজার বিয়ে হয় উদুপি জেলার সুব্রহ্মণ্যনগরের এক দন্ত চিকিৎসক আকাশ রাজের সঙ্গে। শ্বশুরবাড়ির দাবি মেনে পণ হিসেবেই বিয়ের সময়ে মেয়েকে এক কেজি সোনার এবং পাঁচ কেজি রুপোর গয়না দিয়েছিলেন স্বপ্নার ব্যবসায়ী বাবা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আরও টাকা চেয়ে স্বপ্নার উপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। একটা সময়ে আকাশের জন্য নতুন ক্লিনিক খোলার জন্য বাপের বাড়ি থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আনতে বলা হয়। তা অস্বীকার করায় বাড়তে থাকে অত্যাচার। স্বপ্নার অভিযোগ, এক সময় আকাশ নিজের প্রস্রাব পান করতেও বাধ্য করেছিলেন তাঁকে।
শুধু তা-ই নয়, এরই পাশাপাশি চলত যৌন নির্যাতনও। শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেওর, কেউই সেই অত্যাচারে বাধা দেননি। বরং মদত জুগিয়েছেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বার দু’য়েক বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন স্বপ্না। তবে ‘বদলে যাওয়া’র আশ্বাস দিয়ে ক্ষমা চেয়ে প্রত্যেক বারই স্ত্রীকে
ফিরিয়ে আনেন আকাশ। স্ত্রী ফিরলেও কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। এখন তিনি ভাইয়ের বাড়িতে থাকেন। |