বদলাতে পারে সংসদ ভবনের চেহারা। ৮৫ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ভবনের জায়গায় নতুন একটি ভবনে বসতে পারে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করবেন স্পিকার মীরা কুমার। এই খবর জানিয়েছেন লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল টি কে বিশ্বনাথন।
১৯২৭ সালে তৈরি সংসদ ভবনের স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষয় হয়েছে অনেক। কোথাও কোথাও তার সামান্য পরিবর্তনও করা হয়েছে। বিশ্বনাথনের বক্তব্য, সংসদে মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে। ফলে, নতুন ভবন তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
কিছু দিন আগে স্পিকার হালকা সুরে বলেছিলেন, পুরনো সংসদ ভবনটা ‘কাঁদছে’। কোথাও ঘর বাড়ানো হচ্ছে, কোথাও নতুন শীতাতপ যন্ত্র বসানো হচ্ছে। বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, তার পরেই আরও গতি এসেছে নতুন ভবন নিয়ে পরিকল্পনায়। ‘হেরিটেজ’ মর্যাদা সম্পন্ন সংসদ ভবনের পরিকল্পনা করেছিলেন এডওয়ার্ড লুটিয়েনস এবং হার্ভার্ট বেকার। আইন অনুযায়ী, ওই ভবনের বড় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না।
মীরা কুমারের সঙ্গে বেশ কয়েক বার বিদেশ সফরে গিয়েছেন বিশ্বনাথন। তাঁর বক্তব্য, অনেক দেশেরই পার্লামেন্ট ভবন নতুন। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে পরিবর্তন করারও সুবিধে আছে ওই ভবনগুলিতে। নতুন ভবনের পরিকল্পনার বিষয়ে রুরকির একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লোকসভার সচিবালয়। ভূকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিকল্পনায় সামিল করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও। নতুন ভবনের ভারপ্রাপ্ত কমিটির নেতৃত্বে কে থাকবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে তাতে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি থাকবেন বলেই জানিয়েছেন বিশ্বনাথন।
মুম্বইয়ের মন্ত্রালয়ের আগুনের পরে সেই সম্ভাবনা নিয়েও মাথা ঘামাতে হচ্ছে লোকসভার সচিবালয়কে। ওই ঘটনার পরেই সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিশ্বনাথন। তাতে অগ্নিকাণ্ডে বর্তমান সংসদ ভবনের বিপদের কথা স্পষ্ট হয়ে যায়।
একটি রিপোর্টে বিশ্বনাথন জানান, সংসদ ভবনের চার পাশে বেআইনি ভাবে বেশ কিছু জমি দখল হয়েছে। ফলে, অগ্নিকাণ্ডের সময়ে পালানোর পথও কমে গিয়েছে। নতুন ভবনের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে সব ধরনের সতর্কতা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মীরা। |