১১ বছর আগে বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরে ডুবিয়ে এবং পিটিয়ে এক তৃণমূলকর্মীকে হত্যার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত দুই কর্মীর নামে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) দীপতেন্দ্রনারায়ণ মিত্র। বৃহস্পতিবার এই পরোয়ানা জারি হয়। ১৩ অগস্টের মধ্যে অভিযুক্ত সমরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু ও সুধাংশু সিকদারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানোর জন্য কলকাতা
|
নিহত তোপি দাস।
- নিজস্ব চিত্র |
পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর)-কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম শনিবার বলেন, “এখনও আদালতের নির্দেশ পৌঁছয়নি। নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ পদক্ষেপ করবে।”
এই মামলায় আর এক অভিযুক্তঘটনার সময়ে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (এসি) শঙ্করণ মৈত্রের নামে পারোয়ানা জারির জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদন বহু আবেদনের পরেও অবশ্য এখনও মেলেনি। আগের বাম সরকারের মতোই তৃণমূল সরকারও এ ব্যাপারে টালবাহানা করছে বলে অনুযোগ নিহত তৃণমূলকর্মীর আত্মীয়দের।
২০০১-এর ১০ মে, বিধানসভা ভোটের দিন বেলেঘাটার সুরা ইস্ট রোডের বাসিন্দা, বছর বিয়াল্লিশের রবীন্দ্রনাথ ওরফে তোপি দাসকে পুলিশ সুভাষ সরোবরের জলের মধ্যে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর এবং আইনজীবী শেখর বসু, শুভাশিস রায়দের সহযোগিতায় আলিপুরের সিজেএম আদালতে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তি চেয়ে আবেদন করেন তোপির স্ত্রী সাধনা দাস। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এসি শঙ্করণ মৈত্র, ফুলবাগান থানার সে সময়ের ওসি সমরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু এবং হেডকনস্টেবল সুধাংশু সিকদারের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং অপরাধে মদতের ধারায় মামলা গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। কিন্তু বাম সরকার পরোয়ানা কার্যকর করেনি। অভিযুক্তরা নানা আইনি প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট ২০০৬-এ এসি পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায়। ৬ বছরেও অনুমোদন মেলেনি। ওসি, হেডকনস্টেবলের ক্ষেত্রে অনুমোদনের প্রশ্ন ছিল না। তবু জটিলতা হয়। অবশেষে হাইকোর্টের বিচারপতি কাঞ্চন চক্রবর্তী ২ মে জানান, দু’জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা কার্যকর করায় কোনও বাধা নেই। তার পরই সিজেএম কোর্টের দ্বারস্থ হন সাধনাদেবীরা। |