পলিসি কেনার আগে প্রকল্প নিয়ে গ্রাহককে ওয়াকিবহাল করার উপর আরও জোর দিতে চায় বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত সভায় এ কথা জানান আইআরডিএ সদস্য সুধীন রায়চৌধুরী। পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের মতো বিমা সংস্থাকেও এটিএম পরিষেবা চালুর পরামর্শ দেন তিনি।
সুধীনবাবু বলেন, পেনশন সংক্রান্ত প্রকল্প চালু করার দায়িত্ব নিতে হবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও। তাঁর কথায়, “পেনশন-বাজারের ৯৮% দায়িত্ব বইছে জীবনবিমা নিগম। বেসরকারি সংস্থাকেও এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে।”
অনেক ক্ষেত্রে এজেন্টরা গ্রাহকের আর্থিক ক্ষমতা ও প্রয়োজন বিচার না করে পলিসি বিক্রি করেন বলে সুধীনবাবুর অভিযোগ। তিনি জানান, “এ জন্য গ্রাহক সচেতনতা জরুরি। বিভিন্ন বিমা সংস্থার মাধ্যমে তা গড়ে তুলতে পরিকল্পনার কথা ভাবছি। তা ছাড়া বিমা প্রকল্পের শর্তগুলিকে আরও সহজ ভাবে গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষকে বিমার আওতায় আনাও সকলের জন্য উন্নয়ন বা ‘ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন’-এর অঙ্গ।” বিশেষত ক্ষুদ্র বিমা প্রকল্পের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আইআরডিএ নির্দেশিকা চালু করবে বলে জানান তিনি।
তা ছাড়া, বিমা সংস্থাকেও এটিএম চালুর বিষয়টি ভেবে দেখতে পরামর্শ দেন সুধীনবাবু। যাতে পলিসির মেয়াদ পূরণের সময়ে, তা ‘সারেন্ডার’ করা হলে, বা পলিসি থেকে ঋণ নিলে এটিএম থেকেই টাকা পেতে পারেন গ্রাহক। অন্য দিকে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে বিদেশে অধিগ্রহণের কথাও ভেবে দেখতে পরামর্শ দিয়েছে আইআরডিএ। |