ফের বড়সড় ধাক্কা খেল কিংফিশার বিমানসংস্থা। এমনিতেই প্রচুর লোকসানে চলছে সংস্থাটি। তার উপরে বকেয়া বেতন না পেয়ে শনিবার আচমকা ধর্মঘটে নেমে পড়লেন সংস্থার পাইলটেরা। ফলে, এ দিন দেশ জুড়ে ৩০টির বেশি উড়ান বাতিল হয়ে যায়। সংস্থার চেয়ারম্যান বিজয় মাল্য পাইলটদের উদ্দেশে বলেন, “এ ভাবে ধর্মঘট করলে আপনারা বেতন পাবেন না। উল্টে সংস্থার ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি হবে। এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। অনেক বিনিয়োগকারী সংস্থায় টাকা ঢালার জন্য বসে রয়েছেন। এই ধরণের ঘটনায় তাঁরাও পিছিয়ে যেতে পারেন।”
এ নিয়ে গত এক মাসে তিন বার কাজ বন্ধ করে দিলেন পাইলটেরা। সংস্থার কর্মীদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। কর্মীদের চাপে কখনওসখনও এক মাসের বেতন দেওয়া হচ্ছে। বকেয়া বেতনের একটি অংশ শুক্রবার রাতেই দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সংস্থার মুখপাত্রের বক্তব্য, প্রত্যাশা অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ কর্মী সেই বেতন পেলেও ২৫% এখনও পাননি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পাইলটেরাও। এই কারণেই শনিবার সকাল থেকে ‘ছুটি’ নিয়ে বাড়িতে বসে যান তাঁরা। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক উড়ান বাতিল করে দিতে হয়। অনেক যাত্রীকে টিকিটের মূল্য ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। আবার অনেককে অন্য সংস্থার উড়ানের টিকিট কেটে দেওয়া হয়। মুখপাত্রের দাবি, সোমবারের মধ্যেই বাকি ২৫% কর্মীদের ওই বেতন দিয়ে দেওয়া হবে।
শনিবারেই বিজয় মাল্য কর্মীদের একটি বার্তা পাঠান। সেখানে বলা হয়, এ ভাবে উড়ান বাতিল করলে যাত্রীরাও কাল থেকে কিংফিশারের টিকিট কাটার আগে ভাবতে শুরু করবেন। ফলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে সংস্থা। এমনিতেই এই বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তিন মাসে সংস্থার ক্ষতি হয়েছে ১১৫১ কোটি টাকারও বেশি। এখনও বিভিন্ন সংস্থা কিংফিশারের কাছ থেকে প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা পায়। শনিবারের বার্তায় মাল্য বলেন, “আমি এখনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। ইউবি গ্রুপের অন্য সংস্থার চেয়ে বিমানসংস্থার পিছনে আমি অনেক বেশি সময় দিচ্ছি। এই অবস্থায় ধর্মঘটের মতো ‘হঠকারী’ সিদ্ধান্ত আমাদের আরও অন্ধকারে ঠেলে দেবে।” |