পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বনাঞ্চলের বাসিন্দাদের নাম বিপিএল অর্থাৎ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীদের তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এর মধ্যে প্রধানতম হল গৃহ নির্মাণের সুবিধা। পশ্চিমবঙ্গ যাতে কেন্দ্রীয় সুবিধার সুযোগ নিতে পারে, সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে তাঁর ধারণা হয়েছে, অধিকাংশ রাজ্যে বনাঞ্চলের মানুষজন সাধারণত বিপিএল তালিকায় থাকেন না। কিন্তু যোজনা কমিশনের গ্রামীণ আবাসন বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের সুপারিশ, অবিলম্বে জঙ্গলবাসী মানুষকে ইন্দিরা আবাস যোজনা, ন্যাশনাল সোস্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। তাই এই সাহায্য। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মে মাসে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি লিখে বনবাসীদের আবাস এবং অন্য কিছু বকেয়া প্রকল্পের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানান। ৭ জুলাই সুব্রতবাবুকে চিঠিতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কথা জানান জয়রাম। তাঁর অনুরোধ, ২০০২ সালের বিপিএল সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি তালিকায় বনবাসীদের নামও অন্তর্ভুক্ত হোক। তাই ৯০ দিনের মধ্যে জঙ্গল এলাকায় প্রচার এবং প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করতে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
|
২১ জুলাইয়ের গুলির তদন্তে শুনানি ২০শে |
অবশেষে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিচালনা নিয়ে তদন্তের শুনানি শুরু হচ্ছে। আগামী ২০ জুলাই থেকে এই শুনানি চলবে বলে রাজ্যের তথ্য এবং সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ২১ জুলাই ওই অভিযানের ডাক দিয়েছিল তখনকার যুব কংগ্রেস। তখন সেই সংগঠনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে-দিনের অভিযানে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে যুব কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন সমর্থকের মৃত্যু হয়। ক্ষমতায় এসেই গত বছর মমতা পুলিশের সেই গুলিচালনার ঘটনার তদন্তের জন্য বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে একটি কমিশন গঠন করেন। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৫ নম্বর কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটের বাড়িতে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শুনানি চলবে।
|
পুরনো পাঠ্যক্রমে প্রশ্ন, হল না পরীক্ষা |
‘ভুল’ প্রশ্নপত্র বিলি হওয়ার জেরে বুধবার স্থগিত হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের বিএ (পার্ট-ওয়ান) পাস কোর্সের কয়েকশো অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীর দর্শনের পরীক্ষা ছিল। প্রশ্ন হওয়ার কথা ছিল নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা পান পুরনো পাঠ্যক্রমের প্রশ্ন। বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাঁরা পরীক্ষা না দিয়ে বেরিয়ে আসেন। ভুল স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অভিজিৎ তলাপাত্র বলেন, “২০১১ থেকে নতুন পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে। জেলার কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তা জানতে পারা মাত্র পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী ওই পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার নির্দিষ্ট দিন (১৯ বা ২১ জুলাই) কলেজগুলিকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হবে।” বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ‘সিট’ পড়েছিল হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজে।
|
বদলির নতুন নীতি রূপায়ণে তালিকা তলব |
রাজ্যের নতুন বদলি-নীতি রূপায়ণ করতে সব বিভাগের কাছে কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠাল কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর। কয়েক মাস আগে কর্মিবর্গ দফতর সরকারের সচিবালয় কর্মীদের নতুন বদলি-নীতি ঘোষণা করেছে। রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে একই দফতরে ১৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করছেন, এমন কর্মীদের বদলি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ওই নীতিতে। তবে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং রাজ্যপালের দফতর নতুন নীতির আওতার বাইরে। নতুন নীতির ভিত্তিতেই সচিবালয়ের অন্য সব দফতর থেকে কর্মীদের তিনটি তালিকা চেয়েছে সরকার। ২৫ বছরেরও বেশি সংশ্লিষ্ট দফতরে কাজ করছেন, এমন কর্মীদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। বাকি দু’টি তালিকায় যথাক্রমে ১৫ থেকে ২৫ বছর এবং ১২ থেকে ১৫ বছর আছেন, এমন কর্মীদের তথ্য দিতে বলেছে কর্মিবর্গ দফতর। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। |