এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থি থানা এলাকার রাজবল্লভপুর গ্রামের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম সুব্রত মণ্ডল (৩৪)। তাঁর বাড়ি ফলতা থানার ফতেপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সুব্রতবাবুর সঙ্গে স্থানীয় হরিণডাঙা গ্রামের অরুণ গুড়ে নামে একজনের বন্ধুত্ব ছিল। সেই সুবাদে সুব্রত অরুণকে বেশ কিছু টাকা ধার দেয়। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না সুব্রতবাবু। সোমবার সন্ধ্যায় সুব্রতকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে অরুণ ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই দিন রাত থেকেই সুব্রতবাবু বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে অরুণ, সুব্রতর বাবাকে বলে যে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। সুব্রতবাবুর বাবা বটু মণ্ডল উস্থি থানায় তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন অরুণের বিরুদ্ধে। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অরুণকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সুব্রতবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে রাজবল্লভপুর গ্রামের কাছের একটি জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ ধৃতকে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের জেরায় অরুণ তার এক সঙ্গী ফলতা এলাকার বাসিন্দা মণিতোষ মণ্ডলের কথা জানায়। পুলিশ জানিয়েছে জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, টাকা শোধ দেওয়ার নাম করে তারা সুব্রতবাবুকে রাজবল্লভপুর গ্রামে একটি দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মদ্যপান করে। সুব্রতবাবুর বোতলে বেহুঁশ হওয়ার ওষুধও মিশিয়ে দেয় তারা। এরপর তারা সুব্রতকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে দেহ লোপাট করার জন্য জঙ্গলে ফেলে পালায়। মৃতের বাবা বটু মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী কারণে খুন তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হাজতের নির্দেশ দেন। |