টুকরো খবর |
হাফলংয়ে জঙ্গিরা গুলি করে মারল ব্যবসায়ীকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
এক জঙ্গি গোষ্ঠী আত্মসমর্পণ করছে, পরদিনই জন্ম নিচ্ছে নয়া জঙ্গি সংগঠন। আত্মপ্রকাশ করেই নয়া সংগঠনও শুরু করে দিচ্ছে জুলুমবাজি, জোর করে চাঁদা আদায়। না দিলেই গুলি চালিয়ে খুন। কাল রাতেই হাফলংয়ে ঘটেছে এমন ঘটনা। হাফলং বাজারে রাত আটটা নাগাদ দুই যুবক নাইন এম পিস্তল চালিয়ে খুন করল মোটর পার্টসের ব্যবসায়ী স্বপনকান্তি ধরচৌধুরীকে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবিতে আজ সকাল থেকে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যবসা বন্ধ। বেরিয়েছে বিক্ষোভ মিছিলও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সন্দেহ, এই খুনের পিছনে হাত আছে ‘ডিমাসা ন্যাশনাল রেভলিউশনারি ফোর্স’ নামে নবগঠিত জঙ্গি সংগঠনের। ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, বন্দুকধারীরা যখন-তখন এসে মোটা টাকা দাবি করছে। না দিলেই দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বা ব্যবসায়ীরা রাতে বাড়ি ফেরার সময় গুলি করে মারছে। স্বপনবাবুকে মারা হয়েছে বাড়ি ফেরার সময়ই। এই অবস্থায় ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের সঙ্গে একমত জেলাশাসক দিলীপ বরঠাকুর। তিনি আগামিকালই বৈঠকে বসছেন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে। হাফলং শহর-সহ গোটা জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে জেলাশাসক ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন পুলিশ ও সেনা বাহিনীর সঙ্গে। দিলীপবাবু আভাস দেন, এই খুনে জড়িত নয়া ওই ডিমাসা জঙ্গি সংগঠনটি। এলাকায় এরা নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। এনএসসিএন মুইভা গোষ্ঠী এদের মদত দিচ্ছে বলেও ধারণা জেলাশাসকের।
এসপি মুগ্ধজ্যোতি মহন্ত জানান, তদন্ত চলছে। আততায়ীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে। এসপি বা নিহত স্বপনবাবুর ছেলে রাজীব সরাসরি কিছু না বললেও অন্য সূত্রে খবর, জঙ্গিরা মোটা টাকা দাবি করেছিল ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেজঙ্গিদের সেই খাঁই না মেটানোর জন্যই প্রাণ দিতে হল স্বপনবাবুকে।
|
গুয়াহাটিতে রাস্তায় মার তরুণীকে, দুই যুবক ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গুয়াহাটিতে প্রকাশ্য রাজপথে তরুণীকে মারধর করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। রাত দশটা নাগাদ গুয়াহাটির খ্রিষ্টান বস্তি এলাকার একটি পানশালা থেকে বের হন দুই তরুণী। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, দুইজনই অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন। এঁদের মধ্যে একজন অসম পুলিশের এক কর্তার কন্যা। বারের বাইরে কয়েকজন যুবক দুই তরুণীকে কটূক্তি করলে তরুণীরা প্রতিবাদ জানান। দুই পক্ষে বাদানুবাদ শুরু হয়। ততক্ষণে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম ঘটনাস্থলে হাজির হয়। অভিযোগ, ক্যামেরার সামনেই দুই যুবতীর গায়ে হাত তোলেন ওই যুবকরা। পুলিশ কর্তার মেয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে তাঁকে চুল টেনে থাপ্পড় মারা হয়। বার বার ক্ষমা চেয়েও পার পাননি ওই তরুণী। অবশ্য, তাঁর সঙ্গী অন্য তরুণীটি কোনওক্রমে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। অভিযোগ, ওই সময়ে ‘মজা দেখতে’ আরও কিছু লোক জুটে যায়। তরুণীকে রক্ষা না করে তাঁরা ব্যাঙ্গবিদ্রুপেই মত্ত থাকেন। শেষ অবধি, পুলিশের টহলদারি ভ্যান ঘটনাস্থলে এসে ওই তরুণীকে বাঁচায়। তবে, নিগ্রহকারীদের কাউকেই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা যায়নি। উলুবাড়ির বাসিন্দা ওই তরুণীকে প্রথমে ভাঙাগড় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর, তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই তরুণী পুলিশকে জানান, বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মারধরের সময় তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয়। একাধিকবার পোশাক খুলে ফেলার চেষ্টাও চলে। এসএসপি অপূর্বজীবন বরুয়া ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ, টিভি চ্যানেলের ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের সন্ধান করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সঙ্গী তরুণীর জবানবন্দিও নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই যুবককে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
গাঁধীর ‘জাতির জনক’ উপাধি সরকারি নয়, বলছে কেন্দ্র |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ঐশ্বর্যা পরাশরের মতোই কার্যত খালি হাতে ফিরতে হল অভিষেক কাদ্যনকে। মাস দুয়েক আগে তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সমাজকর্মী অভিষেক জানতে চেয়েছিলেন, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে কবে সরকারি ভাবে ‘ফাদার অফ দ্য নেশন’ বা ‘জাতির জনক’ বলে ঘোষণা করা হয়। সেই প্রশ্নেরই উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে অভিষেককে জানানো হয়েছে, গাঁধীকে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেওয়ার জন্য কখনও সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়নি। কেন্দ্রীয় জনসংযোগ অফিসার শ্যামলা মোহন বলেন, “গাঁধী জাতির জনক হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন ঠিকই। কিন্তু এমন কোনও উপাধি সরকারের তরফে তাঁকে প্রদান করা হয়নি।” ফেব্রুয়ারিতেও বছর দশেকের ঐশ্বর্যা পরাশর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কেন্দ্রীয় তথ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানতে চায়, কোন সরকারি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গাঁধী ‘জাতির জনক’ উপাধি পান। জানা যায়, কেন্দ্রের কাছে তেমন নথি নেই। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসু আনন্দবাজারকে সম্প্রতি জানান, গাঁধীজিকে ‘ফাদার অফ আওয়ার নেশন’ সম্বোধন প্রথম করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪৪-এর ৬ জুলাই রেঙ্গুনের স্টুডিও থেকে গাঁধীজির উদ্দেশে এক বেতার বক্তৃতায় তাঁর আজাদ হিন্দ বাহিনীর জন্য আশীর্বাদ চেয়েছিলেন নেতাজি। বলেছিলেন ‘জাতির জনক (ফাদার অফ আওয়ার নেশন), ভারতের স্বাধীনতার এই পবিত্র লড়াইয়ে আমরা আপনার আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা চাই।’
|
নেতার পদে এগিয়ে শিণ্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডেকে লোকসভার নেতা হিসাবে বেছে নিতে পারেন সনিয়া-মনমোহন। কেন্দ্রে ইউ পি এ সরকারের প্রথম থেকেই লোকসভার নেতা ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলে লোকসভার নেতা হিসাবে কংগ্রেসকে এ বার নতুন মুখ বাছতে হবে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হবে সম্ভবত অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তার আগেই সেই কাজ সেরে ফেলতে হবে কংগ্রেসকে। এই অবস্থায় সুশীল কুমার শিণ্ডেই ওই পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। মহারাষ্ট্রে আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারিতে সুশীল শিণ্ডের নামও জড়ায়। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, তদন্ত কমিশনের চার্জশিটে সুশীলের বিরুদ্ধে কোনও নেতিবাচক মন্তব্য নেই। ফলে লোকসভার নেতা হওয়ায় তা বাধা হবে না।
|
তথ্যপ্রযুক্তি জুড়বে রাজ্যের সব ট্রেজারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গে ‘ই-গভর্ন্যান্স’-এর কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকারের ট্রেজারিগুলিকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হবে। এ জন্য রাজ্যকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনেই এই সাহায্য দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে এখন মোট ৮৮টি ট্রেজারি রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থায় ট্রেজারিগুলি যুক্ত করে তথ্য আদানপ্রদান আরও সহজ করতে রাজ্যের অর্থসচিব এইচ কে দ্বিবেদী আজ এক পরিকল্পনা পেশ করেছেন অর্থ মন্ত্রকের কাছে। প্রতিটি ট্রেজারি পিছু ৭৫ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। রাজ্যের আশা, আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়া যাবে।
|
ইস্তফা দিলেন গৌড়া |
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
অনুগামীদের ‘বাধা’ পেরিয়ে অবশেষে পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া। আজ গৌড়ার পদত্যাগ ঘিরে বিস্তর ‘নাটকের’ সাক্ষী থাকল কর্নাটক। সকাল থেকেই গৌড়ার বাড়ির সামনে হাজির ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। গৌড়া রাজ্যপাল এইচ আর ভরদ্বাজের কাছে যাওয়ার জন্য বেরোতেই পদত্যাগ-বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। তিনি যাতে ইস্তফা দিতে না পারেন, তার জন্য বাধা দেন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের হটিয়ে দেয়। গৌড়া অনুগামীরা হাজির ছিলেন রাজভবনের বাইরেও। কিন্তু পুলিশ তৎপর থাকায় সেখানে তাঁরা বিশেষ কিছু করতে পারেননি।
|
উত্তরপ্রদেশে ৪৫ হাজার কোটি বরাদ্দ করল কেন্দ্র |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
উত্তরপ্রদেশের জন্য প্রকল্পভিত্তিক ৪৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করল কেন্দ্র। এর মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প খাতে আটকে রাখা অর্থও রয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পুলক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠকে এই অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঘটনাচক্রে, সমাজবাদী পার্টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে এই বৈঠক হল। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, প্রধানত উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ না পাওয়ায় কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্প খাতে কিস্তির টাকা আটকে রেখেছিল। সব মিলিয়ে অখিলেশ যাদবের সরকার বিভিন্ন প্রকল্প খাতে ৯৩ হাজার কোটি টাকা চেয়েছিল। তার অর্ধেক মঞ্জুর করা হয়েছে। অখিলেশ সরকার রাজের দু’টি সেচ প্রকল্পকে জাতীয় প্রকল্প বলে ঘোষণা (যার ফলে ৯০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র) এবং সমবায় ক্ষেত্রে ৯০০ কোটি টাকার দাবি জানিয়েছিল। তা মেনে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব অতিরিক্ত কিছু অর্থ দাবি করেছিলেন। দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তার কিছু মঞ্জুর করা হতে পারে।
|
নিহতদের ১৭ জনই নির্দোষ, দাবি মন্ত্রীর |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দন্তেওয়াড়ায় নিহতদের সকলে মাওবাদী নন বলে আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রী ভি কিশোর চন্দ্র দেও। গত ২৭ জুন দন্তেওয়াড়ায় যৌথ বাহিনীর আক্রমণে উনিশ জন নিহত হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও ছত্তীসগঢ় সরকার দাবি করে, ঘন জঙ্গলে গুলিযুদ্ধে নিহত হয়েছেন এই উনিশ মাওবাদী। এর ঘটনার পরেই এঁদের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। উনিশ জনের মধ্যে সতেরো জন নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ বলে দাবি করা হয়। এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আজ মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিশোর চন্দ্র দেও। তিনি এ দিন বলেন, এঁদের ১৭ জনই মাওবাদী নন। যখন তাঁদের গুলি করা হয়, সে সময় সামান্য ছুরি বা কাস্তেও তাঁদের কাছে ছিল না। তিনি জানান, রাজ্যের রিপোর্টেও বলা হয়, ১৭ জনই নিরপরাধ।
|
জেল থেকে দুই বন্দি উধাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ভোর রাতে দ্বারভাঙা জেল থেকে পালিয়ে গেল বিচারাধীন দুই বন্দি। মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে ঘটেছে। এই ঘটনা। মহকুমা শাসক (সদর) প্রদীপ কুমার গুপ্ত আজ জানান, প্রথমে সেলের জানালা ভেঙে বেরিয়ে আসে নন্দ কিশোর সিংহ এবং রাজেন্দ্র রাম নামে দুই বন্দি। তারপর কোনও ভাবে পাঁচিল টপকে পালায়। একটি চুরির ঘটনায় প্রায় এক বছর ধরে এই জেলে আটক ছিল দু’জন। এরা জেল থেকে কী ভাবে পালাল, অন্য কেউ এদের পালাতে সাহায্য করেছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
|
জেলে সহবন্দির ছুরিতে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
জেলের মধ্যেই সহবন্দির ছুরির আঘাতে মৃত্যু ঘটল আর এক বন্দির। আজ সকাল দশটা নাগাদ ঝাড়খণ্ডে পশ্চিম সিংভূম জেলার চাইবাসা জেলে ঘটে এই ঘটনা। পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিংহ জানান, একটি ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেল খাটছিল রমাই দোঙ্গো নামে এক কয়েদি। গত বছর মে মাস থেকেই সে ছিল চাইবাসা জেলে। আজ সকালে জেলের মধ্যেই আর এক কয়েদি রমাইয়ের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুরি হাতে। ওই আঘাতেই মারা পড়ে রমাই। এই হত্যার উদ্দেশ্য এবং জেলের মধ্যে ছুরি এল কোথা থেকে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা হল, দিন পনেরো আগেই জেলের মধ্যে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তখন কিন্তু অস্ত্রশস্ত্র কিছু মেলেনি।
|
যৌন নিগ্রহের শিকার, আত্মঘাতী যুবক |
সংবাদসংস্থা • রেওয়া (মধ্যপ্রদেশ) |
সিনিয়রের হাতে গত দু’বছর ধরে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে অবশেষে আত্মহত্যা করলেন আইনের ছাত্র অজয় পড়োলে (২২)। রেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইনের ছাত্র অজয় একাধিক বার পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। তিন দিন আগে, অজয় ফের পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতি না পাল্টালে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। তার পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় অবশেষে চরম রাস্তাই বেছে নেন অজয়। এই বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি।
|
ছেলে না হওয়ায় স্ত্রীকে গলা টিপে খুন |
সংবাদসংস্থা • বরেলী (উত্তরপ্রদেশ) |
পুত্র সন্তানের জন্ম না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যা করলেন স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, ইজ্জতনগর এলাকার নঈ বস্তিতে থাকতেন সালমা এবং আরিফ। পর পর পাঁচ কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় সালমার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন আরিফ। সেই রাগেই মঙ্গলবার স্ত্রীকে প্রচণ্ড মারধর করার পর গলা টিপে হত্যা করেন তিনি। তার পর থেকেই আরিফ পলাতক। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সালমা-আরিফের বড় মেয়ের বয়স ১৩ আর সবচেয়ে ছোট মেয়ে ৩ বছরের। বহু বছর ধরেই আরিফের হাতে অত্যাচার সহ্য করতে হত সালমাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। শিশুগুলি আপাতত তাদের মামার কাছে রয়েছে।
|
মরণ ঝাঁপ, মৃত ৪ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে চলন্ত মালগাড়ির সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তরুণী এক গহবধূ। আজ সকালে কৈমুর জেলার ভাবুয়া রেলস্টেশনের পশ্চিম কেবিনের সামনে ঘটে এই কাণ্ড। মা এবং তিন সন্তানের কেউই বাঁচেনি। ওই স্টেশনে রেলপুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিসার রাজ কুমার জানান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
|
অবরোধ মণিপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
লুঠ ও গাড়ি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধে নামল নাগাল্যান্ডের দক্ষিণ আঙ্গামি যুব সংগঠন বা সায়ো। ঘটনার শুরু গত ২১ জুন। অভিযোগ, চার মণিপুরি ব্যক্তি দুই নাগা যুবককে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে তাদের টাকা ও গাড়ি চুরি করে পালায়। মণিপুরের সেনাপতি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছিল। গাড়িটি এখনও মেলেনি। চার অভিযুক্ত ধরা পড়লেও পরে জামিনে মুক্তি পায়। সায়োর সভাপতি পিটার জাজিমো বলেন, “আপাতত ৯৬ ঘণ্টা বন্ধ চলবে।”
|
দারা সিংহ সঙ্কটজনক |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
প্রাক্তন অভিনেতা ও কুস্তিগির দারা সিংহের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানালেন চিকিৎসকরা। এই অভিনেতার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আজ এমআরআই করে দেখা গিয়েছে হৃৎপিণ্ডের সমস্যার জেরে দারা সিংহের মস্তিষ্কেও অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়েছে।
|
বয়লার ফেটে মৃত ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
একটি কারখানার বয়লারের ট্যাঙ্ক ফেটে মৃত্যু হল ২ শ্রমিকের। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অসমে বঙ্গাইগাঁও জেলার মানিকপুর থানার অন্তর্গত গেরুকাবাড়ি গ্রামে বয়লারের ট্যাঙ্ক ফেটে ৫ জন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবার সকালে ২ জন মারা যান।
|
জেডিইউ কর্মী খুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
রাঁচির রায়ডায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হলেন জেডিইউ-এর এক প্রভাবশালী কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম মহেশ্বর সওয়াঁসি (৩০)। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
|
অস্ত্র-সহ গ্রেফতার |
হাওড়ামুখী জামালপুর এক্সপ্রেস থেকে বুধবার অস্ত্র-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত লক্ষ্মণ রাওয়ের বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। তাঁর কাছ থেকে দু’টি পাইপগান এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি সিআরপি-র কর্মী। বর্তমানে সাসপেনশনে রয়েছেন। পুলিশ জানায়, লক্ষ্মণকে গত মে মাসে সিআরপি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ দিন তিনি মুঙ্গের থেকে হাওড়ায় আসছিলেন। ট্রেনে তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় শক্তিগড় স্টেশনে তাঁকে আটক করে রেলপুলিশ। পরে হাওড়ায় এনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। |
|