নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
দুবরাজপুরে আদিবাসী বধূ ধর্ষণ-কাণ্ডে জড়িত আভিযোগে ধৃত নরেশ মুর্মু নামে এক যুবককে মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাতের মধ্যে আরও তিন জনকে ধরে পুলিশ। ধৃতরা হল সতেরো বছরের সোম মুর্মু, উনিশ বছরের সুনীল কিস্কু, কুড়ি বছরের মঙ্গল কিস্কু। প্রত্যেকেই দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। সোম মুর্মু বাদে বাদি দু’জনকে বুধবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সোমকে পাঠানো হয়েছে সিউড়ি জুভেনাইল আদালতে। যদিও দুবরাজপুর আদালতের মনে হয়েছে সুনীল এবং মঙ্গল প্রাপ্তবয়স্ক নয়। তাই তাদের বয়সের প্রমান সাপেক্ষে উপযুক্ত ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে আগামী ২৫ জুলাই ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সোমবার দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই আদিবাসী বধূ। লিখিত আভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ সেরে অন্যান্য দিনের মত রবিবারও বাড়ি ফিরছিলেন। রঞ্জনবাজার পেরিয়ে ফাঁকা জায়গায় তাঁর পথ আটকায় চারজন যুবক। তারপরে এক প্রকার টানতে টানতে তাঁকে কাছের একটি মুরগি খামেরের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে এক জন তাঁকে ধর্ষণ করে। ওই মহিলার চিৎকার শুনে কাছের ইটভাটায় কাজ দেখতে আসা এক যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা চম্পট দেয়। তবে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োয় ওদের একজনের একটি মোবাইল ফোন পড়ে যায়। সেটি পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সুপার হৃষিকেষ মিনা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সূত্র ধরেই সকলকে ধরা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। |