বিদেশি গ্রাহকদের সম্পদ দ্রুত কমছে, দাবি সুইস ব্যাঙ্কের
সুইৎজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলিতে গোপনে সঞ্চিত বেআইনি সম্পদের হদিশ পেতে তৎপরতা ক্রমাগত বাড়াচ্ছে ভারত-সহ একাধিক দেশ। আর তারই মধ্যে এ বার সে দেশের ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করল, গত ২০০৮-এর পর থেকে তাদের কাছে গচ্ছিত বিদেশি সম্পদের পরিমাণ এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে প্রায় ৩০,০০০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা। আর গত ২০১১-র শেষে তাদের অ্যাকাউন্টগুলিতে সঞ্চিত মোট সম্পত্তির ৫১ শতাংশে নেমেছে বিদেশি গ্রাহকদের সম্পত্তির ভাগ। যা গত চার বছরে ন্যূনতম।
শুধু তাই নয়, সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ভারতীয় নাগরিকদের যে বিপুল কালো টাকা দেশে ফেরানো নিয়ে সাম্প্রতিক কালে সরব হয়েছে এ দেশের রাজনৈতিক মহল, তার পরিমাণও অত্যন্ত নগণ্য বলে দাবি করেছে সুইৎজারল্যান্ড। সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (এসএনবি)-এর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয় গ্রাহকদের সম্পত্তির পরিমাণ ২১৮ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ১২,৭০০ কোটি টাকা। যা গচ্ছিত বিদেশি সম্পদের মোট পরিমাণের মাত্র ০.১৪%।
প্রসঙ্গত, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সম্পত্তির একটা বড় অংশ সামলায় সুইৎজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলি। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নাম-পরিচয় নিয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তাও রক্ষা করে তারা। কিন্তু ওই সব অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পদ উদ্ধারে সক্রিয় হতে বেশ কিছু দিন যাবৎ সুইৎজারল্যান্ড সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। আর বিভিন্ন সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এই কারণেই গত কয়েক বছর ধরে নাগাড়ে কমছে তাদের দেশের ব্যাঙ্কে বিদেশি সম্পদ সঞ্চয়ের পরিমাণ।
সুইৎজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন সুইস ব্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসবিএ)-এর প্রকাশিত তথ্য বলছে, গত ২০১১-র শেষে সে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে সঞ্চিত মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫,৩০,০০০ কোটি সুইস ফ্রা। তার ৫১% অর্থাৎ ২,৭০,০০০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বিদেশি গ্রাহকদের। গত ২০০৮-এ ওই পরিমাণ ছিল প্রায় ৩,০০,০০০ কোটি সুইস ফ্রা।
সুইস ব্যাঙ্কগুলি কার্যত সারা বিশ্বের কালো টাকার অন্যতম প্রধান নিরাপদ আশ্রয় বলে যে চিরাচরিত অভিযোগ এবং বিতর্ক রয়েছে, তাকেও নস্যাৎ করেছে সুইস শীর্ষ ব্যাঙ্ক এসএনবি। বরং তাদের ব্যাখ্যায়, মূলত বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তারা এই পরিষেবা দেয়। তবে ভারতে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, এসএনবি-র পরিসংখ্যানে এ দেশের নাগরিকদের সঞ্চিত যে পরিমাণ সম্পদের খতিয়ান দেওয়া হয়েছে, তাতে যোগ করা হয়নি বেনামে রাখা অর্থের হিসেব।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.