কোথাও শিশুদের প্রতিষেধক দেওয়া হয় আলাদা কোনও ঘরের ব্যবস্থা না করেই। অন্য রোগীদের দেখা হচ্ছে যে ঘরে তারই এক পাশে। কোথাও ‘রেকর্ড রুম’-এ নথিপত্র ঘরের মেঝেতে ছড়ানো। নাক-কান-গলা বিভাগে ‘অডিওলজি’-র যন্ত্রাংশ থাকলেও বিশেষজ্ঞ নেই কয়েক বছর ধরেই। বহির্বিভাগে, ওয়ার্ডের করিডরে যত্রতত্র কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে। সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় এ সব নজরে পড়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-র প্রতিনিধিদের। এ দিন ৩ সদস্যের এমসিএ’র প্রতিনিধি দল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
বহির্বিভাগ থেকে ওষুধ দেওয়ার জায়গা, অপারেশন থিয়েটার, বিভিন্ন ওয়ার্ড, ব্লাড ব্যাঙ্ক, প্যাথলজি বিভাগ ঘুরে দেখেন তাঁরা। তবে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে চাননি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপ রায় বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি অনুমোদন বহাল থাকার যোগ্য কি না তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে এসেছেন প্রতিনিধিরা। সোমবার এবং মঙ্গলবার ২ দিন ধরে তাঁরা হাসপাতালের সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখবেন। আমাদের তরফে সমস্ত সহযোগিতা করা হচ্ছে।” প্রতিনিধি দলে থাকা তিন জন হলেন ভি পরাসন্না, শশাঙ্ক পটেল এবং সুচেতা চৌধুরী। ভি পরাসন্না অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এবং বাকি ২ জন গুজরাত থেকে এসেছেন। এ দিন বেলা ১০ টা থেকেই ওই ৩ প্রতিনিধি আলাদা ভাবে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি সুপার, সহকারি সুপার-সহ চিকিৎসকেরা। বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে প্রতিদিন কেমন রোগী আসে খোঁজ নেন ভি পরাসন্না। শনিবার কম রোগী হলেও সোমবার ১৪০০ কাছাকাছি রোগী আসে বলে জানিয়ে দেন কাউন্টারের কর্মীরা। শল্য চিকিৎসার বহির্বিভাগে মহিলা রোগীদের দেখার আলাদা ব্যবস্থা কী রকম তা জানতে চান তিনি। মেডিসিন বিভাগে ফ্রিজ খুলে কী ওষুধ রয়েছে দেখেন। হাসপাতালের প্রধান ওটি ঘুরে দেখেন শশাঙ্ক পটেল। যান রেডিওলজি বিভাগে। দিন বেলা ২ টার পর বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের ডেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাকরেও বিভিন্ন তথ্য চান। তাতে পরিষেবায় কিছুটা সমস্যা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। |